লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : চোখ কারো জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার দরকার নেই। চোখ শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সূক্ষ্ম এবং সংবেদনশীল অঙ্গগুলির মধ্যে একটি। চোখের যত্নে একটু অসাবধানতাও অনেক ক্ষতিকর হতে পারে।
দুর্বল জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগের অভাব এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো কিছু রোগ চোখের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। যার কারণে অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে এমনকি কোনো কারণে দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে যেতে পারে।
আজকাল, অল্প বয়সে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়ার অনেক ঘটনা দেখা যায়। এমনকি ছোট বাচ্চারাও চশমা পরে। এই সমস্যাগুলি এড়াতে এবং চোখকে সুস্থ রাখতে কিছু বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা আপনার ডায়েট হোক বা দৈনন্দিন রুটিন।
আধুনিক জীবনধারায়, অত্যধিক স্ক্রিন টাইমের কারণে দুর্বল দৃষ্টিশক্তির বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে। শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, তারা কম্পিউটার বা ফোন ব্যবহার করে দীর্ঘ সময় কাটায়। এমন পরিস্থিতিতে এটি চোখের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই আপনার স্ক্রিন টাইমিং একটু কমানোর চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি পর্দা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করুন। আপনি যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করেন, তাহলে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে আরাম করুন।
আপনি যদি আপনার চোখকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় কলা, মাছের ডিম, বাদাম, সবুজ শাক, মটরশুঁটির মতো স্বাস্থ্যকর জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, কারণ ভিটামিন এ, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, লুটেইন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্য অপরিহার্য। পুষ্টিকর খাবার খুবই উপকারী। ভালো খাদ্যাভ্যাস বয়সজনিত চোখের রোগ যেমন ছানি থেকে রক্ষা করে।
চোখ হল সবচেয়ে নাজুক অঙ্গ এবং বেশিরভাগ সময়ই আমরা চোখের চেকআপে অবহেলা করি, যেখানে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর চোখের চেকআপ করা উচিত, যাতে সময়মতো চোখের সমস্যা সনাক্ত করা যায়।
আপনি যদি আপনার চোখে সামান্যতম সমস্যাও লক্ষ্য করেন তবে আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ ইত্যাদি নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে, কারণ এসব স্বাস্থ্য সমস্যা দৃষ্টিশক্তি কমাতে পারে।
ধূমপান শুধু আপনার ফুসফুসের জন্যই ক্ষতিকর নয়, এটি দৃষ্টিশক্তিও কমিয়ে দিতে পারে। ধূমপান গ্লুকোমা এবং ছানির মতো চোখ সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিউএনবি/আয়শা/২১ অক্টোবর ২০২৩,/বিকাল ৫:৪৮