আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছেপেছে। সূত্র থেকে পাওয়া একাধিক গোপন নথি থেকে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চুক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানায় ইন্টারসেপ্ট।
এইসব নথি থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে ইন্টারসেপ্ট বলছে, চুক্তির মেয়াদ গত বছরের গ্রীষ্ম থেকে এ বছরের বসন্ত পর্যন্ত। এ ছাড়া এসব নথিতে থেকে জানা যায় ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার বিনিময়ে পাকিস্তান কত অর্থ পাবে তার সমঝোতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গোপনে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার বিনিময়ে পাকিস্তানকে আইএমএফ থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যরা এই আর্টিলারি গোলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন যা পাকিস্তানে তৈরি বলে দাবি করা হচ্ছে। ইন্টারসেপ্ট বলছে, নথিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের সই তারা মিলিয়ে দেখেছেন যা তার অন্যান্য ডকুমেন্টে করা সইয়ে সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যায়।
অস্ত্র বিক্রি ও লেনদেন করার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল মিলিটারি প্রোডাক্টস এই অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে।
ইন্টারসেপ্ট বলছে, ‘অবাধ্য’ ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করার নেপথ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইমরান ক্ষমতা হারালে ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়। আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে পাকিস্তান পায় আইএমএফের ঋণ। তবে আইএমএফ বলছে, পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে চাপ তৈরির যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা পুরোপুরি মিথ্যা।
ওয়াশিংটনও বিষয়টি অস্বীকার করে বলছে, ঋণ নিয়ে আলোচনা পাকিস্তান ও আইএমএফের কর্মকর্তাদের ব্যাপার। সেই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ছিল না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বেলুচ পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারসেপ্টের রিপোর্টিকে ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাকিস্তান আইএমএফের ঋণ পেয়েছে । এই সমঝোতাকে অন্য কোনো রঙ দেওয়া অবান্তর।
সূত্র: ইন্টারসেপ্ট, ডন
কিউএনবি/আয়শা/১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/দুপুর ২:৫৮