ডেস্ক নিউজ : রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী এ আদেশ দেন।জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ৩০ জুলাই রাত সোয়া ৯টার দিকে বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপির ২৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা এ মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, সোমবার (৩১ জুলাই) ফরিদপুরে বিএনপির জনসমাবেশে যোগ দিতে আগের দিন রোববার (৩০ জুলাই) রাতে আলফাডাঙ্গায় সরকার বিরোধী একটি মিছিল বের করা হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে মিছিলকারীরা আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশ চেকপোস্টের কাছে পৌঁছে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে এবং রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালায়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাত রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছোঁড়ে। এ সময় ইটের আঘাতে এস আই রবিউল ইসলাম, কনস্টেবল নূর এলাহী, মিল্টন বিশ্বাস ও মহসিনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ মামলায় এজাহারভুক্তদের ১৫ জন আসামি গত ৭ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে ওই সময়ের মধ্যে তাদের নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ মেনে রোববার বিএনপির ওই ১৫ জন নেতাকর্মী ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত বয়স বিবেচনা করে মো. রিজাউল ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও হাদী রতনের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি ১২ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রবিউল হক রিপন, সদস্য সচিব খোসবুর রহমান খোকন, পৌর বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক কামরুল ইসলাম দাউদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লা আল মিলন, নজরুল ইসলাম, মো. মুন্নু শেখ, হেমায়েত শেখ, হেমায়েত হোসেন মৃধা, সাজ্জাদ হোসেন, সৈয়দ মাইনুল হক, ফয়সাল সরদার ও মফিজুর রহমান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী উৎপল চক্রবর্তী বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী। আজ তারা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত বয়স বিবেচনা করে তিন জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং বাকি ১২ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, মামলাটিকে গায়েবি মামলা হিসেবে আখ্যায়িত করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন বলেন, ‘বিএনপির একদফার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে আলফাডাঙ্গায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘৩০ জুলাই রাতে আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, ককটেল নিক্ষেপ এবং রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালানোর কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আমি এ গায়েবি মামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং গ্রেফতারদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’
কিউএনবি/আয়শা/১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৪:১২