দাম বেড়েছে বেগুনেরও। সাইজ ও মানভেদে গত সপ্তাহে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন তা ১০০ টাকায় ঠেকেছে। এছাড়া কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, মুখী ৮০ টাকা ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, বৃষ্টির কারণে কৃষক ঠিকমতো সবজি তুলতে পারছে না। ফলে সরবরাহ তেমন একটা বাড়েনি, তাই দাম বেশি।’
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে গেছে। এতে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। সবজি কিনতে আসা গৃহিণী ফাহমিদা আক্তার বলেন, প্রতি সপ্তাহে বাজারে আসলেই দেখি কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। তবে কমে খুবই কম পণ্যের। ক্রেতার কষ্ট বাড়ছে।
এদিকে, মাছের বাজারও চড়া। বেড়েছে ইলিশের দাম। মাছ বিক্রেতা শহিদুল জানান, ইলিশের জোগান কম, তাই দাম বেশি। অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে প্রতি কেজি চাষের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা, চাষের কৈ ২৮০ থেকে ৩০০, চাষের পাবদা ও শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
মুরগির বাজারেও দামের হেরফের দেখা গেছে। সোনালি মুরগিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। গরু ও খাসির মাংসের দামেও তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ও আলুর বাজারও স্থিতিশীল। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে, আর আলুর জন্য গুনতে হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। এদিকে, জেলা পর্যায়ের মোকামে লাগাতার বাড়ছে চালের দাম। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে। গত এক মাসে চালের দাম বেড়েছে ৭-৮ টাকা পর্যন্ত। চাল বিক্রেতা রাকিব বলেন, ‘মিলাররা ইচ্ছে মতো দাম বাড়াচ্ছে। মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই খুচরাতেও দাম বেশি।’
চাল কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফাহিম বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়ছে। সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ না করে, সামনে আরও ভোগান্তি হবে।’মূলত ঈদের পর থেকে চালের বাজারে অস্থিরতা চলছে। বর্তমানে মিনিকেট চালের কেজি ৮২ থেকে ৮৫ টাকা, নাজিরশাইল চালের কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং মোটা চালের কেজি ৫৬ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তারা বলছেন, মোকাম, পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরকারের কঠোর তদারকি ছাড়া এই অস্থিরতা থামবে না।