আবু জাহের,শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বর্তমানে তালগাছের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এতে এক দিকে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীন ও প্রাকৃৃতিক সৌন্দর্য এবং স্বাভাবিক ভারসাম্য। অন্যদিকে বাড়ছে বজ্রপাতসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রতিবছরই বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রাকৃৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও বজ্রপাতের ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ এস এস সি ১৯৮৪ সালের উত্তরবঙ্গের ব্যাচের উদ্যোগে শেরপুর-ধুনট রোডে ১ হাজার ৯শ ৮৪টি তাল গাছের চারা রোপন করেছে । শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শেরপুর-ধুনট রোডের শালফা এলাকায় তাল গাছের চারা রোপন কর্মসূচি উদ্ভোধন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার অতিরিক্ত পরিচালক ডক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় তিনি বলেন, এটা একটা ভালো উদ্যোগ এই কর্মসূচিকে আমি সাধুবাদ জানায়। এই তালগাছ প্রাকৃতিক সুন্দর্য বৃদ্ধি ও বজ্রপাতজনিত দুর্ঘটনা হ্রাস করবে। একটা সময় গ্রাম-বাংলার বসতভিটা, প্রবেশপথ, পুকুরপাড়, অলিগলি, মেঠোপথসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত সারিসারি তালগাছ। তাতে ঝুলে থাকত বাবুই পাখির বাসা। খালে-বিলে দেখা যেত তাল গাছের তৈরি ডেঙ্গি নৌকা। শহরতলীতেও দেখা মিলত তালগাছের। তবে এদৃশ্য এখন শুধুই অতীত। এছাড়াও গরমকালে এখনও তাল পাতার তৈরি পাখা ও তাল শাঁসের বেশ কদর রয়েছে। পাকা তাল দিয়ে তৈরি গ্রামীন পিঠাপুলিও পছন্দের তালিকায় রয়েছে নানাবয়সি মানুষের কাছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এস এস সি ১৯৮৪ সালের অধ্যাপক ডা: ইব্রাহিম খলিল, আমিনুল বারী, দিলীপ কুমার সাহা, গোলাম মাহবুব মোর্শেদ, মামনুর রশিদ তুহিন, ডা: মো: শাহিন, নাসিম আহম্মেদ, জয়নাল আবেদীন হাফিজ, জাকির হোসেন, আলীয়া সুলতানা আলো, জহুরুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
কিউএনবি/অনিমা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/রাত ১০:৩৪