মিজানুর রহমান মিন্টু,জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ছোট মানিক এলাকায় বৈশাখী এ্যান্ড সুইটমিটস নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সেজে ব্যবসায়ীর কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন, অপরদিকে একই উপজেলার শালপাড়া বাজারের ভাইবোন কনফেকশনারি ও ফলের দোকান থেকে ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রুহুল আমিন নামে আয়মারসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক দফাদার। টাকা না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানারও হুমকি দেন। এঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বৈশাখী এ্যান্ড সুইটমিটসের স্বত্বাধিকারী নিয়ামুল বারিক ও ভাইবোন কনফেকশনারি ও ফলের দোকানের স্বত্তাধিকারী বজলুর রশিদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। দফাদার রুহুল আমিন হলেন উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের কৃষ্টপুর গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ছোট মানিক মোড়ে বৈশাখী এ্যান্ড সুইটমিটসের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরী করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার ভয় দেখিয়ে স্থানীয় দফাদার রুহুল আমিন দোকানের স্বত্বাধিকারী নিয়ামুল বারিকের কাছে গিয়ে নিজের মুঠোফোন ধরিয়ে দিলে অপর প্রান্তে থাকা ব্যাক্তি নিজেকে এ্যাসিল্যান্ড দাবি করে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করবেন। কিছুক্ষণ পরে পুনরায় নিজেকে এ্যাসিল্যান্ড দাবি করা ওই ব্যাক্তি ব্যবসায়ী নিয়ামুল বারিকের মুঠোফোনে কল দিয়ে বলেন আপনি যদি ৩০ হাজার টাকা দিতে পারেন তাহলে আর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবনা। অপর দিকে একই উপজেলার শালপাড়া বাজারে ভাইবোন কনফেকশনারি ও ফলের দোকানে গিয়ে নিজের মুঠোফোন ধরিয়ে দিয়ে একটি নম্বরে নগদের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা নিয়েছে ওই দফাদার।ভাইবোন কনফেকশনারী এন্ড ফলের দোকানের স্বত্বাধিকারী বজলুর রশিদ বলেন, সেদিন সন্ধ্যায় দফাদার রুহুল আমিন এসে তাঁর মুঠোফোন ধরিয়ে দিয়ে বলে এ্যাসিল্যান্ড স্যার কথা বলবে ধরেন।
আমি মূর্খ মানুষ তার কথা বিশ্বাস করে এ্যাসিল্যান্ডে ভেবে কথা বলি। পরে জরিমানার ভয়ে ওই নম্বরে নগদের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা দেই। অভিযোগের বিষয়ে দফাদার রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করের।পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো.মারুফ আফজাল রাজন বলেন, বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি এবং প্রতারকের মোবাইল নাম্বারটি ট্যাক করার জন্য ওসিকে বলা হয়েছে।পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা সুলতানা বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
কিউএনবি/অনিমা/০৯.০৯.২০২৩/দুপুর ২.৪২