জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন দুই বৃহৎ জোটের বাইরে অনিবন্ধিত ছয়টি দলের সমন্বয়ে “জাতীয় জনতার জোট” নামে নতুন একটি রাষ্ট্রের জুড়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে আজ।
আজ ৩১ শে আগস্ট(২০২৩) রোজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোট র চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর
সভাপতিত্বে “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা” আলোচনা সভা শেষে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। জোটের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ তাঁরা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তারা সেই নিবন্ধন পায় নি। নিবন্ধনের জন্য তাদের রাজনীতি থেমে থাকবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রচিন্তক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জানিপপ এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নৈতিক সমাজের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:)
আমসা আমীন।
এ জোটের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান রাসেল কবির, মানবতা পার্টির সভাপতি মাওলানা ক্বারী মোঃ আব্দুল মজিদ পঞ্চগড়ী, বাংলাদেশ জনতা ঐক্য এর চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা বজলুর রহমান আমিনী, বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের মহাসচিব সাহেল আহমেদ সোহেল, জনতা ঐক্য এর মহাসচিব বিল্লাল হোসেন, বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসাইন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির আহ্বায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা যখন জাতীয় ইনসাফ কমিটি করলাম, আমাদের বলল যে আমরা বিএনপিকে ভাঙতে চাই। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক দল নই। আমি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কাছে কিছু চাই না। আমরা চাই জাতিসংঘঘোষিত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জনগণের যে অধিকার, সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক’।
জোটের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসাইন বলেন,” জাতীয় জনতার জোট একটি উন্মুক্ত মঞ্চ । এখানে সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, শ্রমজীবি, সামাজিক সংগঠনসহ সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।দেশের প্রতিটি সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। আমরা জানি বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের বিষেদগার নিয়ে ব্যস্ত, তারা কেউ ১ ঘন্টা বক্তব্য দিলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট নিজের দলের নেতাদের তোষামোদ করেন বাকি সময়টা অন্য দলের বিরোধিতা নিয়ে ব্যস্থ থাকেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নিয়ে কথা বলার সময় তাদের হাতে থাকে না।
জাতীয় জনতার জোট বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলবে ,জাতীয় জনতার জোট মানুষের সমস্যা এবং এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় এর উপায় নিয়ে কথা বলবে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা এই সংস্কৃতি থেকে জাতীয় জনতার জোট এদেশের মানুষকে বের করে আনতে চায়। আমরা মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন চাই।মানুষের মধ্যে মানতবতা বোধটুকু জাগ্রত করতে চাই। আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সেক্টরে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সিস্টেম লস এর মাধ্যমে ক্ষতিসাধিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন ,”৭০% নাগরিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে চাই। বাংলাদেশে এখন প্রায় ছয় কোটির মত বেকার। অপরদিকে সরকারি চাকুরিতে যত কোটা আছে , সেখানে এক লক্ষ লোকেরও কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয়। তাই বেসরকারি খাতে কর্মীবান্ধব বাস্তব সম্মত নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধান করতে চায়।দেশে শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায়। জাতীয় জনতার জোট কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ সহ সকল নাগরিকের জন্য মানবিক উন্নয়নে কাজ করতে চায়”।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ অগাস্ট ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:২৪