ডেস্ক নিউজ : রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে তাদের মধ্যে বৈঠক শেষে এ কথা জানান সিইসি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের তরফ থেকে বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা কামনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। দ্বিপাক্ষীয় এ দীর্ঘ বৈঠকে উঠে আসে নির্বাচন প্রসঙ্গও; সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব পক্ষের সহযোগিতা কামনা করে সিইসি আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কমিশন বদ্ধপরিকর।
আর বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক বিভাজন যত বাড়ছে, বাংলাদেশে ততই বাড়ছে বিদেশিদের দৌঁড়ঝাপ। রাজনৈতিক দলগুলো তো বটেই নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে গত কয়েক মাসে বৈঠক করেছেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এমনকী জাপানের রাষ্ট্রদূত সঙ্গে বৈঠকের পর আজ যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার আসেন নির্বাচন কমিশনে।
সকাল ১১টার কিছু আগে শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ক’মাস আগে দায়িত্ব নেবার পর নির্বাচন কমিশনে এটাই ছিল সারাহ কুকের প্রথম বৈঠক। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে (১ আগস্ট) সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সিইসি জানান, দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ভোট গ্রহণ সহজ হবে। দেশে এখন যে সংকট বিরাজ করছে তা রাজনৈতিক। এর সমাধান হলে ইসির পক্ষে ভোটগ্রহণ সহজ হবে। এটাই তাদের বলেছি।
আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী অক্টোবরে প্রাক নির্বাচন টিম পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র-সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি আরও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। যেকোনো দেশের শান্তি ও গণতন্ত্রের বজায় থাকুক সেটা যুক্তরাষ্ট্র চায়।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৩:৫৫