এপ্রিলে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ক্যাচ নিতে গিয়ে পড়ে গিয়ে হাটুর লিগামেন্টের চোটে পড়েন উইলিয়ামসন। অপারেশনের পর সম্প্রতি নেটে ব্যাটিং করেছেন। যদিও নেটে থ্রোডাউন সামলেছেন শুধু, বোলারের মুখোমুখি হননি এখনো। আপাতত ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছেন। এ মাসের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি, সেখানে চলবে তাঁর পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া।
কবে মাঠে ফিরবেন, এ ব্যাপারে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি উইলিয়ামসন। কিন্তু অক্টোবরে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরে ফেরার সম্ভাবনা একরকম নাকচই করে দিয়েছেন। মাউন্ট মঙ্গানুইতে সাংবাদিকদের উইলিয়ামসন বলেন, ‘ব্যাপারটা সোজাসাপটা না। আপনি হয়তো আগেভাগে কোনো লক্ষ্য ঠিক করে নিজেকে বোঝাতে চাইবেন। তবে এটা আসলে সেরে ওঠার অনেক উপকরণের ওপর নির্ভর করছে। স্ট্রেংথ নিয়ে কাজ করতে পারে, মুভমেন্ট নিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে। তবে সবার আগে সেরে ওঠার ব্যাপারটা হতে হবে। আর তার আগে অনেক কিছু পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় তাই সিরিজটি (বাংলাদেশের বিপক্ষে) বেশ তাড়াহুড়া হয়ে যায়।’
বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে এখনোই সরাসরি কিছু বলতে চান না গতবারের রানার্সআপ দলের অধিনায়ক, ‘বিশ্বকাপে খেলা সব সময়ই বিশেষ কিছু। তবে কবে ফেরার দিন আসবে, এখন সেটি বললে আসলে অনুমান করা হবে শুধু। এখনো অনেক কাজ বাকি। আপাতত আমাকে যে প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে, সেটি অনুসরণ করছি ফিজিও, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ও সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে। এটিও কঠিন। কারণ কোনো দিন বেশ ভালো যায়, কোনো দিন আবার একটু আলাদা।’
আপাতত ইংল্যান্ডের দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় উইলিয়ামসন। ২৫ ও ২৭ আগস্ট দুটি টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচের পর ৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। ৮-১৫ সেপ্টেম্বর হবে ওয়ানডে সিরিজ। দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এমনিতেও দল একত্রে খুব বেশি সময় কাটায়নি এর মধ্যে। কিন্তু কিছুদিন দলের বাইরে থাকার পর এখানে ব্যাটিং করা, এরপর দলের সঙ্গে যোগ দেওয়াটা দারুণ হবে। বিশ্বকাপের আগে এটি শেষ দিককার সফর, এরপর বাংলাদেশ সফর আছে। দলের সঙ্গে সময় কাটানো, অনুশীলন ও পুনর্বাসন করতে পারলে ভালো লাগবে।’