আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ রয়েছে জাহাজ চলাচলও। উপকূলীয় অঞ্চলের জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ জানিয়ে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির সরকার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালের কোরিয়ার জিওংনাম এবং জিওনামের মধ্যবর্তী দক্ষিণ উপকূলে অবতরণ করবে এবং পুরো কোরীয় উপদ্বীপে আঘাত হানবে। এখন পর্যন্ত টাইফুনটি প্রতি ঘণ্টায় ১১৯ থেকে ১৫৮ কিলোমিটার বেগে এবং প্রায় ৯৭০ হেক্টোপাস্কেলের বায়ুচাপসহ শক্তিশালী বাতাস বয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খানুন টাইফুনটি হিন্নামনোরের মত শক্তিশালী হয়ে আঘাত হানবে।
কোরিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, খানুন বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দক্ষিণ গিয়াংসাং প্রদেশের টংইয়ং থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে যাওয়ার পরে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে এবং সকাল ৯টার দিকে টংইয়ংয়ের প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানবে। কোরিয়া আবহাওয়া প্রশাসন (কেএমএ) তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার সারা দেশ দিনভর শক্তিশালী ঝড়ের প্রভাবে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে টাইফুন খানুন দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছানোর পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে, জেজু দ্বীপে আসা-যাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকার জেজু দ্বীপে সমস্ত জাহাজ নোঙর করার ব্যবস্থা নিয়েছে এবং রাত ৮টা থেকে সকল বন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেজু প্রাদেশিক সরকার সকাল ৯টা পর্যন্ত দ্বীপের আশেপাশের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সতর্কতা জারি করেছে। সাধারণত টাইফুনগুলো উত্তরে যাওয়ার সাথে সাথে দুর্বল হয়ে যায়, তবে ‘খানুন’ দক্ষিণ উপকূলের মধ্য দিয়ে যেতে পারে যেখানে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং এর শক্তি বাড়াতে জলীয় বাষ্প শোষণ করবে।
কিউএনবি/আয়শা/৯ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ৮:৩৪