ডেস্ক নিউজ : বেসরকারি খাতে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বেক্সিমকো পাওয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে। গত ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
রংপুর সফরে গিয়ে উত্তরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা সোলার লিমিটেড নামে এ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদী চরের সাড়ে ৬০০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় ও এশিয়ার অন্যতম বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
তিস্তা পাড়ের লাটশালা এলাকায় কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বসানো হয় সাড়ে পাঁচ লাখ সোলার প্যানেল। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সুন্দরগঞ্জের তিস্তা পাড় থেকে রংপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ১২২টি টাওয়ারের ১৩২ কিলো ভোল্টের ৩৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন। নির্মাণ করা হয়েছে সাব স্টেশন, বসানো হয়েছে ইনভার্টারসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
বন্যা, নদী ভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বিদ্যুকেন্দ্রটি রক্ষায় নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধ ও চলাচলের জন্য সাত কিলোমিটার সড়ক। যার সুবিধা পাচ্ছেন স্থানীয়রা।
গত ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। সূর্যের আলোর উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে এ কেন্দ্র থেকে ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
প্রকল্পটি সম্পর্কে বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান শায়ান এফ রহমান বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা রোডম্যাপ আছে। সরকার এটা নিয়ে অনেক কাজ করছে। বেক্সিমকো অনেক খাতে পাইওনিয়ার। আমরা মনে করি, এ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত ভবিষ্যৎ জ্বালানির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই আমরা এ খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিই।
প্রকল্পটি শতভাগ বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরো সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা করছি।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও ভূমিকা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও অবদান রাখবে বলে মনে করেন শায়ান এফ রহমান।
বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে। উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জ্বালানি আমদানি কমাতে সরকারও এ খাতে জোর দিয়েছে। যার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বেক্সিমকো। উত্তরবঙ্গে আরও একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়বন করছে দেশের শীর্ষ এই শিল্প গ্রুপ।
কিউএনবি/অনিমা/০২ অগাস্ট ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৪২