এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের বয়সাগাড়ী খালের উপর নির্মিত ব্রিজে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ব্রীজটির দুইপাশে যাত্রী সাধারনকে সাবধানের জন্য সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ভেঙ্গে পড়েছে দুই পাশের রেলিং। ভাঙা অংশটি ক্রমশ বড় হচ্ছে। ফলে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ ও যানবাহন। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার ২৫ জুলাই বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরু ব্রিজটির বিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। মহেশপুর ও চৌগাছা উপজেলার যোগাযোগের মাধ্যম এক মাত্র এ সড়কটি। আর সেই সড়কের বয়সাগাড়ী খালের উপর ব্রীজটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত হরহামেশায় এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। মরছে মানুষ জীবনের মত পঙ্গু হচ্ছেন অনেকে। স্থানীয় আন্দারকোটা গ্রামের শাহিনুর রহমান, হাফিজুর রহমান, আলা বিশ্বাস, মিজানুর রহমান ও মাষ্টার আব্দুল মতিন তাদের দাবী রাস্তার চেয়ে ব্রীজটি অনেক সরু, যে কারনে এখানে হরহামেশায় দুর্ঘটনা ঘটে।
উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামের আব্দুল মুন্নাফ কালু মিয়া বলেন, ব্রীজটি অনেক দিনের পুরাতন তাই বেশ দুর্বল হয়ে গেছে। ব্রীজের বিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার হাজার-হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। চৌগাছা ও মহেশপুর উপজেলার মানুষ এ ব্রীজ ব্যবহার করে তাদের যোগাযোগ রক্ষা করেন। তারা শিক্ষা চিকিৎসা ও জেলা সদরসহ রাজধানী ঢাকা যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে। বলা চলে এ অঞ্চলের মানুষের এটিই একমাত্র চলাচল সড়ক। যা সংযুক্ত হয়েছে চৌগাছা উপজেলা সদর, মহেশপুর উপজেলা সদর ও কোঁটচাদপুর উপজেলায়। ব্রিজটিতে ফাঁটল দেখা দেওয়ায় এ এলাকার যানবাহন ও পথচারীদের পারাপারে দারুণ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে হচ্ছেন দুর্ঘটনার শিকার। অনেক পুরাতন হওয়ায় ব্রীজটি দুই পশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে।
ইতি মধ্যে ব্রীজের দুই পাশে সর্বসাধারণকে সাবধান করে দিতে সাইন বোড দেওয়া হয়েছে “ সামনে সরু ব্রীজ সাবধানে চলুন”। দীর্ঘদিন এ ব্রীজটি সংস্কার না হওয়ায় ব্যাপক ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। ব্রিজটির বিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা দেওয়ায় যাওয়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচেছ সবাইকে। স্বরুপদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল কদর বলেন, ব্রিজটি অনেক বছর আগে এলজিইডি বিভাগ নির্মাণ করেছিলো। ব্রিজটি পুরাতন হয়ে যাওয়াতে বিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা গেছে। যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ বরাবর এ বিষয়ে জানিয়েছি। কর্র্তৃপক্ষ ব্রীজটির দু পাশে সাইনবোড দিয়ে দিয়েছেন।
চৌগাছা উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ বলেন, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। ফলে তারা কি ভাবছেন আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছর এলজিইডির কাছ থেকে ওই সড়কটি আমাদের দপ্তর ভুক্ত হয়েছে। আমি খবর পেলাম আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে অফিসসিয়ালভাবে ব্রিজটি পূনঃ নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ জুলাই ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৫৫