ডেস্ক নিউজ : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন কয়েকবার বিএনপিকে আলোচনার জন্য ডাকলেও কোনো আমন্ত্রণেই সাড়া দেয়নি দলটি। সম্প্রতি দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে ক্ষমতাসীনদেরই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কখনও একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এই যে বলা হচ্ছে, সংলাপ সবাই চায়; কিন্তু হচ্ছে না কেন, তার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। সরকারের কথার ওপর বাংলাদেশের মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে; বিরোধী দলেরও নষ্ট হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে, সংকট সমাধানে দুদলের আলোচনার তাগিদ দিচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোন দলই সংলাপের উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আলোচনা করতে সবসময় প্রস্তুত জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, তৃতীয় কোনো পক্ষ এগিয়ে আসলে সাড়া দেয়া হবে। ২০১৮-এর সংলাপের বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আস্থার সংকট প্রকট। উদ্যোগ না নেয়ার বড় কারণ এটি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, সংলাপ তো সবাই চাইবে। কেউ তো রাস্তায় মারামারি করতে যাবে না। দেশের খাতিরে সবাই চাইবে একটা সমঝোতা হোক। সমাধানের জন্য একটা মধ্যস্থতাকারী দরকার। সংলাপ যেভাবেই হোক না কেন, দুদলের মধ্যে একটা সমঝোতা হোক – এটা সবাই চায়।
উল্লেখ্য, দশম সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপে বসতে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি দলটি। যদিও একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপে বসেছিলো দুদল।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ জুলাই ২০২৩,/বিকাল ৩:০৪