রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত শিশু মোত্তাকিন

রাশিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৯৭ Time View

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার মাঝের চর তা’লিমুল কুরআন নুরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র শিশু মোত্তাকিন (৯)। সে বাবা মায়ের আদরের সন্তান। ঈদের দিন এলাকার সংঘবদ্ধ চক্রের নির্মম এবং বর্বর হামলায় গুরুতর আহত হয় মোত্তাকিন। পৈশাচিক হামলায় তার কান ঘেঁষে মাথায় ছয়টি সেলাই দেয়া হয়। বাঁশের তৈরি হোলঙ্গা মাথায় ঢুকার কারণে গুরুতর আহত অবস্থায় ৭দিন ধরে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু মোত্তাকিন। অসহনীয় যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অবুঝ শিশু মোত্তাকিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম। জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন। ৬ মাস পর পর আসতেন বাড়িতে। তার অবর্তমানে স্ত্রী মিনা বেগমের উপর গ্রামের কিছু বখাটে লোকজন পরকীয়াসহ নানা রকম মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সামাজিকভাবে কোণঠাসা করে রাখে। এর প্রতিবাদ করে আসছিল ওই নারী। এ নিয়ে সালিশ বৈঠকেও বার বার নিরপরাধ হিসেবে প্রমাণিত হয় শিশু মোত্তাকিনের মা মিনা বেগম।

২৮জুন নিজেদের ভুল স্বীকার করে বখাটেরা ওই গৃহবধূর হাত ধরে ক্ষমা নেয়। সালিশ বৈঠকে প্রকাশ্যে ক্ষমার চাওয়ার বিষয়টি মানতে না পারা এবং অপবাদ দিয়েও ওই নারীকে ফাঁসাতে না পেরে গত ২৯ জুন ঈদুল আযহার দিন রাতে বখাটেরা দেশীয় অস্ত্রে সংঘবদ্ধ হয়ে ১৫/২০ জনের একটি দল আইনুলের নামের এক যুবকের নেতৃত্বে হামলা চালায় ওই পরিবারে। এতে আহত হয় ঘরে থাকা মোত্তাকিন, মিলন, আব্দুস সালাম ও মিনা বেগম। হামলা চালিয়ে মহুর্তে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সবাই কিছুটা সুস্থ্য হয়ে উঠলেও শিশু মোত্তাকিনের অবস্থা অপরিবর্তনশীল। এ ঘটনায় শিশু মোত্তাকিনের পিতা মোঃ আব্দুস সালাম বাদী হয়ে গত ৪ জুন কুড়িগ্রাম সদর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। যার নং-৩৩/২৩। ঘটনায় অভিযুক্ত আইনুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।

শিশু মোত্তাকিনের মা মিনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় থাকায় আমার উপর মিথ্যা পরকীয়ার অপবাদ দেয় আইনুল সহ এলাকার যুবকরা। তারা বার বার আমাকে অপরাধী সাজানোর চেষ্টা করেও না পেয়ে ঈদের দিন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। আমি প্রাণে বাঁচলেও আমার সন্তান মোত্তাকিনকে হোলঙ্গা দিয়ে অমানিবক হামলা চালায়। সে এখন মৃত্যুর মুখে। আমি এর বিচার চাই। েএ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ হোসেন বলেন, কোর্টে মামলা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৬ জুলাই ২০২৩,/বিকাল ৪:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit