ডেস্ক নিউজ : কারও কাছে আষাঢ় উপভোগের, কারও কাছে দুর্ভোগের নাম। শনিবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকার আকাশ। একটু পরেই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট। হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলতে দেখা যায় যানবাহনগুলোকে। এসময় বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায় পথচারীদের। প্রবল বর্ষণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে গাবতলী, মিরপুর, আসাদগেটে, দক্ষিণখানসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি নাকাল হতে হয়েছে মিরপুরবাসীকে। শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১, মিরপুর ১০ গোলচত্বর এমনকি মহল্লার অলিগলি চলে যায় পানির নিচে। গাড়ি নষ্ট হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালক ও যাত্রীদের।
সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯৪, ঢাকায় ৮২, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৭৪, টাঙ্গাইলে ৭২, নওগাঁর বদলগাছীতে ৬৯, ভোলায় ৬৭, ফেনীতে ৬১, ফরিদপুর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৪৮, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৪৩, কুমিল্লায় ৪২, বাগেরহাটের মোংলায় ৩৪, পটুয়াখালীতে ২৫, গোপালগঞ্জ ও চাঁদপুরে ২৪, বরিশালে ২৩, নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ২১, কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১৮, রংপুরে ১৬, বগুড়া ও ময়মনসিংহে ১৩, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ১২, সাতক্ষীরায় ১১ এবং যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এ সময় রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারীর ডিমলা, নেত্রকোনা, চট্টগামের সন্দ্বীপ, খুলনা ও পটুয়াখালীল খেপুপাড়ায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে আরও কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কিউএনবি/আয়শা/০১ জুলাই ২০২৩,/রাত ৯:১২