গত বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। আর পশু কোরবানি দেয়া হয় প্রায় ১০ লাখ। চলতি বছর ১৮ লাখ মানুষ হজ করছেন। সেই হিসেবে চলতি বছর সৌদিতে প্রায় ২০ লাখ পশু কোরবানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপ-আফ্রিকা ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ২৮ জুন (বুধবার) পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
আজ ১০ জিলহজ ভোরের আলো ফুটতেই মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন হাজিরা। সেখানে জামারায় প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছেন। এরই মধ্যে অনেকেই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মিনায় পশু কোরবানি করছেন। সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে হজ করছেন ১৮ লাখ মানুষ। মঙ্গলবার (২৭ জুন) স্থানীয় সময় ৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে ১৮ লাখ হাজি উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন পুরুষ ও নারী হজ করেছেন। যারমধ্যে বিদেশি ছিলেন ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন। সৌদির হাজি ছিলেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩০ জন। হাজিদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৪ জন। নারী ছিলেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫১ জন।
বুধবার (ঈদের দিন) সকালে মিনায় ফিরে হাজিরা প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েন। এরপর কোরবানি দিয়ে ইহরাম ত্যাগ এবং সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ করবেন হজের আনুষ্ঠানিকতা।
হাজিদের একটি অংশ নিজে মুস্তাহালাকায় (পশুর হাট ও জবাই করার স্থান) গিয়ে কোরবানি দেন। আবার অরেকটি অংশ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি) নির্ধারিত রিয়াল জমা দিয়ে তাদের মাধ্যমে কোরবানি দেন।
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির সময় থাকে ৩ দিন। যারা কোনো কারণে ১০ জিলহজ কোরবানি করতে না পারেন, তাদের জন্য ঈদের পরের দুই দিনসহ ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করার সুযোগ থাকে।