বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি মোদির সংবাদ সম্মেলনটিকে একটি ‘বড় বিষয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউস কৃতজ্ঞ যে সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। কিরবি বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা আনন্দিত যে তিনিও মনে করেন এটি গুরুত্বপূর্ণ।’সাধারণত বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বাইডেনের হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা আগেই ঠিক করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের থেকে খুব সীমিত সংখ্যক প্রশ্ন নেয়া হবে বলে জানা গেছে। এদিকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ক্রমবর্ধমান কট্টর রূপ দেখানো এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমন-নিপীড়নের অভিযোগে মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে আসছেন দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন ও বিরোধীদলীয় আইন প্রণেতারা।
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার মনে করলেও মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে এসব উদ্বেগ উত্থাপন করতে বাইডেনের ওপর চাপ রয়েছে। ফলে সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার এক মূল ইস্যু হতে পারে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদি পাঁচবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গেছেন। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এটা তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
গত মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত সাক্ষাৎ রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। এ সফরে দুই দেশের প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক জোরদার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে এরই মধ্যে বুধবার (২১ জুন) মার্কিন গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার প্রধান ও জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক সাক্ষাৎ করেছেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতর প্রাঙ্গণে বিশ্ব যোগ দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় বুধবার (২১ জুন) রাতে হোয়াইট হাউসে মোদিকে স্বাগত জানান জো বাইডেন ও জিল বাইডেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসে পৌঁছলে নরেন্দ্র মোদিকে সংগীতের মাধ্যমে বিশেষ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির সঙ্গে তাকে কথা বলতে দেখা যায়।