ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিরাজুল আলম খানের পরিচিতি ‘তাত্ত্বিক নেতা’ আর ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে, যাকে তার কর্মী বা সমর্থকরা দাদাভাই হিসেবে সম্বোধন করতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন।
ষাটের দশকে বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন সিরাজুল আলম খান। এ সময় তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণিত বিভাগের ছাত্র। থাকতেন ফজলুল হক হলে।
উত্তাল সে সময়ে সরকারবিরোধী জনমত গঠন করা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত করা, ধর্মঘটের পোস্টার লেখা, মধ্যরাতে কর্মীদের নিয়ে দেয়ালে পোস্টার লাগানোসহ বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা পালন করতেন দাদাভাই। ফলে হলে ফিরতে প্রায় রাত হয়ে যেত। আর এর জের ধরেই হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাকে।
ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাবিতে ভর্তি হয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান। গণিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি। কিন্তু ‘কনভোকেশন মুভমেন্টে’ অংশ নেওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর ফলে তার পক্ষে মাস্টার্স ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কিউএনবি/অনিমা/০৯ জুন ২০২৩,/রাত ৮:৩০