ডেস্ক নিউজ : তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ আছে। বৃহস্পতিবার ( ৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আজকে যারা দেশকে অশান্ত করতে চায়, তারা খুনি জিয়ার গড়া অবৈধ দল। যারা বিভিন্ন সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা স্থবির করেছিল। তাদের লক্ষ্য একটাই দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে ধ্বংস করা। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত একাট্টা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশকে অশান্ত পরিবেশের দিকে নিয়ে যাওয়া। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তথাকথিত আন্দোলনের নামে গাড়ি পুড়িয়ে, মানুষ পুড়িয়ে, সরকারি সম্পত্তি পুড়িয়ে ভেবেছিল সরকারের পতন ঘটাতে পারবে। কিন্তু তারা পারেনি, ব্যর্থ হয়েছে।’
বিএনপির বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘তারা বিদ্যুতের দাবিতে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিচ্ছে। তাদের লজ্জা আছে? থাকলে এরকম কর্মসূচির কথা মুখে আনতে পারত না। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশের শতকরা ৩০ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট। দিনে ১৮ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হত। মানুষ ৪-৫ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পায়নি। দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারেননি, দিয়েছিলেন খাম্বা। সেই বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করছেন।’
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার মেগাওয়াট। দেশের শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। মহামারি করোনার দুই বছর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দা। তেল, গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। এসময় ছয় দফা ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে হানিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় কোনো গোলটেবিল বৈঠকে, কারো দয়ায় বা কারো বাঁশির হুইসেলে আসেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ প্রেক্ষাপট ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধাপে ধাপে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে। ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের পর ৬৬’ সালে জাতির পিতা ছয় দফা ঘোষণা করেন। এ ছয় দফা ছিল আমাদের স্বাধীনতার মূল সোপান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া , অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম , সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
কিউএনবি/আয়শা/০৯ জুন ২০২৩,/দুপুর ১:৩৩