আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বুধবার পদত্যাগ করেছেন দেশটির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ফিউ থাই পার্টি-এর নেতৃত্ব থেকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা পেতংতার্নের এই সিদ্ধান্ত দেশটির রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের দীর্ঘ প্রভাবের অবসানের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত। খবর এএফপির।
দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পেতংতার্নের পদত্যাগ দলের জন্য একটি ‘সম্পূর্ণ সংস্কারের’ সুযোগ এনে দিয়েছে। সেখানে তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘আমার পদত্যাগ দলটিকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে, যাতে আমরা ভবিষ্যতের নির্বাচনে জয়ী হতে পারি।’তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি দল থেকে পুরোপুরি সরে যাচ্ছেন না। ‘আমি এখনও দলের একজন সদস্য এবং থাইল্যান্ডের জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাব,’ বলেন পেতংতার্ন।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সিনাওয়াত্রা পরিবার থাইল্যান্ডের রাজনীতি, বিশেষ করে ফিউ থাই পার্টির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে এই পরিবার বারবার সামরিক ও রাজতান্ত্রিক অভিজাতদের বিরোধিতার মুখে পড়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, পেতংতার্নের পদত্যাগ পরিবারতন্ত্রের অবসানের সম্ভাব্য সূচক হলেও, সিনাওয়াত্রা পরিবারের ছায়া থেকে ফিউ থাই পুরোপুরি বের হতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। সুখোথাই থাম্মাথিরাত ওপেন ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইউত্তাপর্ন ইসারাচাই বলেন, ‘কে দলীয় নেতৃত্বে আছেন, সেটা বড় বিষয় নয়।
ফিউ থাই দীর্ঘদিন ধরেই সিনাওয়াত্রা পরিবারের পরোক্ষ প্রভাবেই পরিচালিত হয়ে এসেছে এবং সম্ভবত তা চলতেও থাকবে।’তিনি আরও যোগ করেন, ‘আদালতের বরখাস্তের পর দলকে আইনি জটিলতা থেকে রক্ষার কৌশল হিসেবেই পেতংতার্নের এই পদত্যাগ দেখা যেতে পারে।’
কিউএনবি/আয়শা/২২ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৫০