লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : ইফতারিতে অল্প খাবার খেতে হয়। এক সঙ্গে বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। থাকতে পারে ঠাণ্ডা দুধ। এর মধ্যে খেজুরের পেস্ট কিংবা খুরমার গুঁড়া দিয়ে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের জন্য খুব ভালো হবে। বাড়তি চিনি মেশানো যাবে না। তাৎক্ষণিক শক্তি দেবে। ওজন বাড়বে না। যাদের কোলেস্টেরল আছে তারাও খেতে পারবে। প্রথমে আধা গ্লাস পানি, তারপর দুধের এই ককটেল খাবেন। ইফতারিতে কম চিনিযুক্ত জুস, শরবত, লাচ্ছি খাওয়া যেতে পারে। ভাজা-পোড়ার ক্ষেত্রে মানুষ অনেক সচেতন হচ্ছে।
খাবারের দোকানগুলোতে ভাজা-পোড়ার আধিক্য দেখা গেলেও মানুষ এখন এসব খাচ্ছে কম। তারপরও ভাজা-পোড়া যদি খেতে ইচ্ছে করে তাহলে খাবারের তালিকার পেছনের দিকে রাখতে হবে। আগে অন্য খাবারগুলো খেয়ে নিতে হবে। প্রথম দিকে থাকতে পারে কাঁচা ছোলা। থাকতে পারে মুরগি এবং সবজি দিয়ে বানানো পাতলা খিচুড়ি। পরিমাণ এক বাটির বেশি হবে না। কেউ যদি খিচুড়ি পছন্দ না করেন তাহলে মুরগি সবজির পাতলা রাইস করতে পারেন। খাবারে অতিরিক্ত তেল দেওয়া যাবে না। খিচুড়ি বা পাতলা রাইস যারা পছন্দ করছেন না, তারা হালিম খেতে পারেন। হালিমে অনেক ক্যালরি থাকায় শরীরে পুষ্টি জোগাবে।
এই সময়ে সামান্য ভাজা-পোড়া চলতে পারে। অনেকে পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি দিয়ে মুড়ি মাখানো খেতে পছন্দ করেন। ইফতারিতে খালি পেটে সেটা না খেয়ে এই সময়ে কিছুটা খেতে পারবেন। এই নিয়ম মেনে চললে ইফতারিতে ভারী খাবার নেওয়ার পর শরীর ছেড়ে দেওয়ার যে ব্যাপারটা থাকে সেটা হবে না। সারা দিনে হারানো শক্তি ফিরে আসবে। যারা ব্যায়াম করেন তারা শুধু এই সময়ে করতে পারবেন। মনে রাখতে হবে, রোজা রাখা অবস্থায় কোনো ধরনের ব্যায়াম করা যাবে না।
রাতের খাবারেও হালকা ধরনের খাবার খেতে হবে। পেট পুরে ভাত খাবার যে প্রবণতা, সেটা এড়িয়ে যেতে হবে। রাখতে হবে সবজি। পাশাপাশি মাছ কিংবা মাংস কিংবা ডিম, যে কোনো একটি রাখা যেতে পারে। এগুলোর সঙ্গে ডাল রাখা যেতে পারে। তারাবির আগে যদি মাখানো মুড়ি বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে রাতের খাবারে ভাত কমিয়ে দিতে হবে। ইফতারিতে যদি কেউ হালিম না খান তাহলে রাতের খাবার হিসেবে হালিম চলতে পারে। সবশেষে ঘুমানোর আগে যেকোনো একটা ফল খাওয়া যেতে পারে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সিলিং সেন্টার
কিউএনবি/আয়শা/২৬ মার্চ ২০২৩,/রাত ১০:২৮