ডেস্ক নিউজ : ‘বিএনপির আরেক নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সেদিন বলেছেন হঠাৎ বাংলাদেশ হয়ে গেছে। হঠাৎ বাংলাদেশ হয়ে গেছে! দেশকে স্বাধীন করতে কত মানুষ জীবন দিয়েছেন, কত মানুষের রক্ত ঢালতে হয়েছে, মা-বোন ইজ্জত দিয়েছে। এ রকম কথা কি সহ্য করা যায়। তাহলে দেশটাকে আবার পাকিস্তান বানাতে বিএনপির হাতে নেতৃত্ব দেয়া যায়।’ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হামিদপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। কিন্তু স্বাধীনতার এত দিন পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিয়াউর রহমান এবং জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ রকম জানলে আমি মুক্তিযুদ্ধই করতাম না। আমি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না পড়লে যে বীরগুলো আছেন তারাও বীর হতে পারতেন না।’মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের অনেকেই এখনও মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হন নাই। আমি ক্ষমতায় থাকলে ওই অলস মুক্তিযোদ্ধাদের কমপক্ষে ৬ মাস সাজা দিতাম।
মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতি তুলে ধরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, যৌবনে এমন কোনো পুরুষ বা নারী নাই যে প্রেমে পড়ে নাই। আমি একমাত্র মানুষ, গর্ব করে বলতে পারি, আমার কোনো নারীর সঙ্গে প্রেম হয় নাই। ওই সময়ে লতিফ সিদ্দিকী যে ঝড় তুলেছিল আয়ুব-মোনায়েমের বিরুদ্ধে, আমি লতিফ সিদ্দিকীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে চিনেছিলাম, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে দেশমাতৃকাকে ভালোবাসে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। অনেকে দেশ ছেড়ে গেলেও আমি মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতেই যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছি। আমি তাই আজও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি।
ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সদস্য শামীম আল মুনছুর আযাদ সিদ্দিকী, সহসভাপতি আবদুল হালীম সরকার লাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম আবু সালেক হিটলু, উপজেলা কৃষক শ্রমিক লীগের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুর সবুর, ইথার সিদ্দিকী, দুলাল হোসেন ও আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
কিউএনবি/আয়শা/১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/রাত ৯:৪৫