মনিরুল ইসলাম মনি ,শার্শা(যশোর)সংবাদদাতাঃ- যশোরের শার্শার নাভারন দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সেপটি ট্যাংকির ভিতর থেকে গলিত অবস্থায় প্রেমিকার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে যশোর র্যাব-৬ । প্রেমিক হাসান হাবিব অংকু প্রেমিকা জেসমিন আক্তার পিংকি’র উপর রাগ ও তার থেকে পরিত্রান পেতে তাকে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। যশোর র্যাব- ৬ প্রেমিক হাসান হাবিব অংকুকে আটক করেছে। প্রেমিক হাসান হাবিব অংকু (২২) শার্শার দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামের আলী আকবার এর ছেলে। অপরদিকে প্রেমিকা জেসমিন আক্তার পিংকি (১৯) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাজিরহাট কাওরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। হাসান হাবিব অংকু ও জেসমিন আক্তার পিংকি দুজনেই যশোর পলিটেকনিক কলেজে লেখাপড়া করে।
সূত্রে জানাগেছে, হাসান হাবিব অংকু ও জেসমিন আক্তার পিংকি দুজনেই যশোর পলিটেকনিক কলেজে লেখাপড়া করার সুবাদে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। জেসমিন আক্তার পিংকি যশোর বারান্দি পাড়ার ২নং কলোনীতে লুবনা খাতুন নামে এক মহিলার বাড়িতে ভাড়া থাকত। হাসান হাবিব অংকু তার প্রেমিকা পিংকির ভাড়া বাসাতে যাতায়াত করত। অনেকে জানতো তারা দুজন স্বামী ও স্ত্রী।
আটক হাসান হাবিব অংকু জানান, পিংকি আমার সাথে প্রতারনা করে অন্য ছেলেদের সাথে মেলা মেশা করত বলে জানতে পারে। এ ছাড়া পিংকি তার সাথে অনেক ঝামেলা করত। যে কারনে সে মানসিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর অংকু সিদ্ধান্ত নেয় পিংকি থেকে নিজেকে বাাঁচতে পিংকিকে হত্যা করতে হবে। যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ। অংকু জানায় গত ২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার যশোর থেকে পিংকিকে নাভারন দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর রাতে পিংকিকে বাড়ির পিছনে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্য করে। এ সময় পিংকির মাথায় ইটের আঘাতও করে। তারপর পিংকির নিথর দেহ একপি বস্তায় ভরে বাড়ির পিছনে সেপটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে দেয়।
যশোর র্যাব এর কমান্ডিং অফিসার নাজিউর জানান, গত ২ তারিখে যশোর পলিটেকনিক কলেজের চতুথর্ সেমিষ্টারের জেসমিন নামে একটি মেয়ে নিখোঁজ হয়। এব্যাপারে গত ৫ তারিখে যশোর সদর থানায় একটি জিডি হয়। এর পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে । ভিকটিমের পরিবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। আমরা জানতে পারি ৫ তারিখে একটি ফোন থেকে পরিবারকে বলা হয় জেসমিন ভারতে পাচার হয়েগেছে। সেই নাম্বারের সুবাদে ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আমরা হাসান হাবিব অংকু নামে একজনকে আটক করি। আটক আসামি থেকে জানতে পারি এটা তার নাম্বার না। এরপর আটক আসামীর পরীক্ষা থাকায় তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে পূনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বিকার করে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে ও মাথায় ইটের আঘাত করে সে একাই হত্যাকান্ডটি ঘটায়। এর পর লাশটি গুম করার জন্য তার বসত বাড়ির পিছনে একটি সেপটি ট্যাংকির মধ্যে আত্মগোপন করে রাখে। পরবর্তিতে বিসযটি জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ঠ পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থার সহায়তা লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তে জন্য পাঠানো হয়। এর পর শার্শা থানায় একটি মামলা রুজু করে আসামীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। র্যাব আরও জানায় এ ব্যাপারে আসামী যেহেতু নিজ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে সেহেতু অন্য কাউকে আটক বা আসামী করা হয়নি।
কিউএনবি/অনিমা/১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:৪১