আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাতাশা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ফ্লোরেন্স এম গদিনিয়ার মিডল স্কুলে পড়াশুনা করছে। জনস হপকিন্সের সিটিওয়াই তালিকাটি ৭৬টি দেশের ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
সিটিওয়াই বিশ্বব্যাপী উজ্জ্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে ও তাদের প্রকৃত অ্যাকাডেমিক দক্ষতার একটি পরিষ্কার চিত্র সরবরাহ করে। যাতে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বেশ লাভ হয়।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওই তালিকায় জায়গা করে নিল মাত্র ১৩ বছর বয়সি নাতাশা। এর আগে ২০২১ সালে জনস হপকিন্স সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ পরীক্ষা দেয়। ওই বছর সে ৫ম গ্রেডের শিক্ষার্থী ছিল।
২০২১ সালের ট্যালেন্ট সার্চ অনুষ্ঠানে যোগদান করা প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার। প্রায় ৮৪টি দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন এই অনুষ্ঠানে। ৫ম গ্রেডের শিক্ষার্থী হয়েও ওই বছর ৮ম গ্রেডের পরীক্ষায় ৯০ তম স্থান অধিকার করে নাতাশা। যা তাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী’র সম্মান এনে দেয়।
এসএটি ও এসিটি উভয়ই মানসম্মত পরীক্ষা যা অনেক কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে বা তাদের আদৌ কলেজে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা আছে কি-না তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করে। বিভিন্ন কোম্পানি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও এ পরীক্ষার স্কোরগুলোকে মেধাভিত্তিক বৃত্তি প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয়।
নাতাশার বাবা-মা ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। তার এ সাফল্যে তারা খুবই আনন্দিত। নাতাশার সম্পর্কে তার বাবা-মা বলেন, অবসর সময়ে নাতাশা আঁকাআঁকি করতে পছন্দ করে। এছাড়া জেআরআর টলকিন্সের উপন্যাস পড়তে ভালোবাসে সে।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:১৫