বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

জমি সংক্রান্ত বিরোধে জের ধরে সংঘর্ষে মাদ্রাসা শিক্ষকসহ আহত-৬

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৯ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : জমি সংক্রান্ত বিরোধে জের ধরে সংঘর্ষে হাফেজ আক্তার হোসেন নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ ৬জন আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের মধ্য চররোসুন্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষ’ই পালং মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে।

পালং মডেল থানা, আহত মোক্তার ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলা রুদ্রকর ইউনিয়নের মধ্য চররোসুন্দি গ্রামের আব্দুল গনি তালুকদার গংদের সাথে একই বাড়ীর মোক্তার তালুকদার গংদের র্দীঘ দিন যাবত বাড়ীর সিমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে অন্তত ১৫বার স্থানীয় ভাবে দরবার সালিশ করা হলেও বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি। গত ৪দিন পূর্বে মোক্তার তালুকদাররা টয়লেট তৈরির জন্য তাদের জায়গায় কাজ করছিল। তখন গনি তালুকদার থানায় অভিযোগ করে। পরে পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষকে আমিন দ্বারা জায়গা পরিমাপ করে মিমাংসার পর কাজ করার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় গনি তালুকদার গংরা সুতা টানিয়ে সিমানা নির্ধারন করে মোক্তারদের সীমানার মধ্যে থাকা লাউ গাছের ঝাকা জোর পূর্বক ভেঙ্গে ফেলে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে মোক্তার তালুকদার বাঁধা দিলে এক পর্যায়ে গনি তালকদার গংরা লাঠিসোটা নিয়ে মোক্তার তালুকদার (৫২), ছেলে হাফেজ ওলিউল্লাহ (২২) ও তার ভাই পশ্চিম চররোসুন্দি দারুল কোরআন কওমি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ আক্তার হোসেন (৪৫)কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে বলে জানান আহত হাফেজ আক্তার হোসেন। এ সময় অপর পক্ষের হারুন তালুকদার (৬৫), রফিক তালুকদার (৩০) ও সফিক তালুকদার (৩২) আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে গনি তালুকদারের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি থানায় আছি পরে কথা বলবো। স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ঢালী বলেন, আমি মেম্বার হওয়ার পর ২ বার মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। গত ৩দিন আগে মোক্তার তালুকদাররা টয়লেট তৈরির জন্য কাজ করছিল। তখন গনি তালুকদার থানায় অভিযোগ করে। পরে পুলিশ গিয়ে মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আসে। শুনেছি এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে মারামরি হয়েছে। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এই নিয়ে মারামারি হয়েছে। উভয় পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit