স্পোর্টস ডেস্ক : ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ ম্যানচেস্টার শহর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। লাল রঙের সঙ্গে মাঠে যেন নীল রঙ মিশে গেছে। দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি মুখোমুখি হয়েছে এ মাঠে। এই ম্যাচ দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা দারুণ এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন। শীর্ষ স্তরের লিগে কোচ হিসেবে এটি হবে তার ৫০০তম ম্যাচ।
বার্সেলোনার ‘বি’ দল থেকে ২০০৮ সালে মূল দলের কোচের দায়িত্ব পান গার্দিওলা। চার বছর ক্যাম্প ন্যু–তে সোনা ফলানোর পর ২০১২ সালে বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়েন এই স্প্যানিশ। লা লিগা ছেড়ে গার্দিওলা ২০১৩ সালে যোগ দেন বুন্দেসলিগার দল বায়ার্ন মিউনিখে।
গার্দিওলা এ পর্যন্ত ৪৯৯ ম্যাচে তার দলের হয়ে ৭৬ শতাংশ ম্যাচ জিতেছেন। ১৪ শতাংশ ম্যাচ ড্র করেছেন এবং হার ১১ শতাংশ ম্যাচে। বিবিসি জানিয়েছে, ২০০৮–০৯ মৌসুমে গার্দিওলা ইউরোপে কোচিং শুরুর পর শীর্ষ পাঁচ লিগে অন্তত ১০০ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন, এমন কোচদের মধ্যে তার জয়ের শতকরা হারই সবচেয়ে বেশি। বার্সার কোচ হিসেবে লা লিগায় ১৫২ ম্যাচ, বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের কোচ হিসেবে ১০২ ম্যাচ এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সিটির কোচ হিসেবে ২৪৫ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন গার্দিওলা।
সিটি কোচ হিসেবে গার্দিওলার লিগে জয়ের হার ৭৪ শতাংশ, বুন্দেসলিগায় তা ৮০ শতাংশ ও লা লিগায় ৭৫ শতাংশ। সিটির হয়ে ৪ বার এবং বায়ার্ন ও বার্সার হয়ে ৩ বার করে লিগ জিতেছেন ৫১ বছর বয়সী এ কোচ। এই তিন ক্লাবে মোট ১৩টি লিগ শিরোপা জয়ের সুযোগ পেয়েছেন গার্দিওলা। এর মধ্যে জিতেছেন ১০ শিরোপা। শীর্ষ স্তরের লিগে ৪৯৯ ম্যাচের মধ্যে ৩৭৯ ম্যাচ জিতেছেন গার্দিওলা। ৬৮ ম্যাচে ড্রয়ের পাশাপাশি হেরেছেন ৫২ ম্যাচ।
ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে ম্যাচ পরিচালনায় পেপ গার্দিওলার চেয়ে বিস্তর ব্যবধানে এগিয়ে আছেন অনেকেই। ট্রান্সফারমার্কেট জানাচ্ছে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৭৮৮ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন গার্দিওলা।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:৩৮