স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : মা হবার আশা পুরন হলোনা যশোরের মনিরামপুরে গৃহবধু শিরিনা আক্তার কনার। দুইমাসের অন্তসত্তা কনা শুক্রবার সকালে স্বামীর সাথে মোটরসাইকেলে করে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন চেকআপের জন্য। কিন্তু বিধিবাম। পথিমধ্যে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে কনার মৃত্যু হয়। আহত হয় স্বামী। নিহত শিরিনা আক্তার কনা(২১) মনিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী। পুলিশ কনার মরদেহ উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করান। গতকাল রাত আটটার দিকে কনার পিতার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। কনার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানাযায়, উপজেলার মদনপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুস সালামের মেয়ে শিরিনা আক্তার কনার বিয়ে হয় প্রায় চার বছর আগে তাজপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রুহুল কুদ্দুসের সাথে।
বিয়ের পর কনা দুইমাস আগে অন্তসত্তা হন। নিহত গৃহবধুর চাচাতভাই মদনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহুল কুদ্দুস শুক্রবার সকালের দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকলে করে তার অন্তসত্তা স্ত্রীকে নিয়ে ঝিকরগাছা পৌরশহরে চিকিৎসকের কাছে চেকআপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।পথিমধ্যে সকাল ১১ টারদিকে তাজপুর বাজার পার হবার সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি ট্রাককে সাইট দিতে গিয়ে তারা পড়ে যায়। এসময় ট্রাকের পেছনের চাকায় তারা পিষ্ট হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে কনার মৃত্যু হয়।
তবে চিকিৎসার পর কনার স্বামীর অবস্থা উন্নতি হলে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। পুলিশ কনার মরদেহ উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করান। গতকাল রাত আটটার দিকে কনার পিতার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এ দিকে পুলিশ ট্রাকটি আটক করতে পারেনি। মনিরামপুর থানার অফিনার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কিউএনবি/অনিমা/১৩ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ১০:১১