শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

ঢাবিতে মূত্রের মাধ্যমে কালাজ্বর শনাক্তকরণের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন

জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৯১ Time View
জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতি রোগ কালাজ্বর নির্ভুলভাবে শনাক্ত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ  মনজুরুল করিমের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল । আজ ২ জানুয়ারি( ২০২৩) সোমবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কালাজ্বর নির্ণয়ের এই নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে মিডিয়ার সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। 

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ নিজামুল হক ভূঁইয়া,অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক দলের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অসাধারণ উদ্ভাবনের জন্য গবেষক দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের অনেক গবেষক ও বিজ্ঞানী রয়েছেন। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তাঁরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আধুনিক ও সমৃদ্ধ ল্যাব স্থাপন করা গেলে শীঘ্রই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ টিকাসহ বিভিন্ন ধরনের টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন করা যাবে।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, “রিয়েল টাইম পিসিআর ভিত্তিক এই মলিকুলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি সম্পূর্ণ নির্ভুল ও নিখুঁতভাবে কালাজ্বর শনাক্তকরণের একটি রোগীবান্ধব পদ্ধতি। মূত্রের নমুনা ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যে কালাজ্বর শনাক্ত করা সম্ভব। পূর্বে কালাজ্বর নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রক্তের ইমিউনোক্রোমাটোগ্রাফিক পরীক্ষা এবং অস্থি-মজ্জা, যকৃত, প্লিহা, লিম্ফ নোড এর টিস্যু অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হতো। এতে রোগ শনাক্তকরণের জন্য ৭দিন সময় লাগতো”। নতুন এই পদ্ধতিতে কালাজ্বর নির্ণয় ও নির্মূলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে গেলো বলে তিনি জানান। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশিরভাগ মানুষ। তিনি ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘ সাড়ে আট বছর ধরে গবেষণা করে এই পদ্ধতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদের এই গবেষণা ফলাফল ইতোমধ্যেই বিশ্বখ্যাত জার্নাল PLOS Global Public Health এ প্রকাশিত হয়েছে। 

কিউএনবি/অনিমা/০২ জানুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit