ডেস্ক নিউজ : বগুড়ার নন্দীগ্রামের ফসলি মাঠে ‘হিমালয়ী গৃধিনী’ প্রজাতির একটি শকুন পাওয়া গেছে। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের (তীর) সদস্যরা শনিবার রাতে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রাম থেকে শকুনটি উদ্ধার করেন।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম ইকবাল জানান, এটি হিমালয়ী গৃধিনী প্রজাতির শকুন। শকুন বড় ডানার বৃহদাকার পাখি। এটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী মৃত ভক্ষণকারী পাখি। তিনি আরও বলেন, শকুন একমাত্র প্রাণী যারা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা ও খুরা রোগের সংক্রমণ থেকে জীবকুলকে রক্ষা করতে পারে।
তীর সভাপতি রিফাত হাসান জানান, হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বছরের এ সময় ঝাঁকে ঝাঁকে শকুন বাংলাদেশে আসে। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে পাখিগুলো বাংলাদেশে আসার পর ক্লান্ত ও খাবার অভাবে দুর্বল হয়ে যায়। ফলে তারা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নেমে পড়ে। প্রতি বছরই তীর সদস্যরা উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় শকুন উদ্ধারে বন বিভাগকে সহায়তা করে। চলতি বছরে ইতোমধ্যে তিনটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে।
আইইউসিএন বাংলাদেশের তথ্যমতে, সর্বশেষ ২০১৪ অনুষ্ঠিত শুমারিতে দেশে ২৬০টি শকুনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। তবে বন বিভাগের সঙ্গে আইইউসিএন বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকৃতির ঝাড়ুদার খ্যাত প্রাণীটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিজ্ঞান সম্মত কার্যক্রম চলছে।
কিউএনবি/আয়শা/১১ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:১৪