শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন

জাদু থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৫২ Time View

ডেস্ক নিউজ : জাদুকে আরবিতে বলা হয় সেহর। জাদু করা শয়তানি ও ইসলামে একটি ঘৃণিত কাজ। সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা কেউ সুখে কিংবা ভালো থাকুক বা তার জীবনে উন্নতি ঘটুক তা তাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। তাই তারা সরাসরি ক্ষতি করার সুযোগ না পেয়ে পরোক্ষভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। পরোক্ষভাবে ক্ষতি করার জন্য যার ক্ষতি করবে তার পশম, চোখের পাপড়ি, নখ, চামড়া, ব্যবহৃত পোশাক সংগ্রহ বা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তাকে জাদু করে। জাদুর প্রভাবে সে অসুস্থ হয়ে যায়, শরীর নষ্ট হয়ে যায়, কষ্ট পায় এবং মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমনকি জীবনহানিও ঘটার সম্ভাবনা থাকে। জাদু সম্পর্কে আল কোরআনে আলোচনা রয়েছে, আল্লাহতায়ালা বলেন, আর তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত।

আর সুলাইমান কুফরি করেনি; বরং শয়তানরা কুফরি করেছে। তারা মানুষকে জাদু শেখাত এবং (তারা অনুসরণ করেছে) যা নাজিল করা হয়েছিল বাবেলের দুই ফেরেশতা হারুত ও মারুতের ওপর। আর তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত যে, ‘আমরা তো পরীক্ষা, সুতরাং তোমরা কুফরি কোরো না।’ সুরা বাকারা, আয়াত ১০২। জাদু খুবই মারাত্মক ক্ষতিকর। কেউ জাদু করে থাকলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। এ জাদু থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাকে প্রথমত জানতে হবে জাদুকর কীভাবে জাদু করেছে। তা জেনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এমনকি বিভিন্ন দোয়া রয়েছে তা পাঠ করে ফুঁ দিলে জাদু নষ্ট হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। হজরত জিবরাইল (আ.) রসুল (সা.)-কে একটি দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছিলেন। দোয়াটি হচ্ছে, বিসমিল্লাহি আরক্বিক মিন কুল্লি শাইয়িন য়ুজিক। ওয়া মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসিদিন; আল্লাহু ইয়াশফিক। বিসমিল্লাহি আরক্বিক।’ অর্থাৎ আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সব কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। (মুসলিম)

জাদু থেকে মুক্তি পেতে হলে আয়াতুল কুরসি অথবা সুরা আরাফ, সুরা ইউনুস, সুরা ত্বহার জাদুবিষয়ক আয়াতের সঙ্গে সুরা কাফিরুন, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর ও পাত্রে পানি রেখে পানিতে ফুল দিয়ে সেই পানি পান বা গোসল করালে ইনশা আল্লাহ রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। এ ছাড়া নিম্নবর্ণিত দোয়াটি পাঠ করে ঝাড়ফুঁক করা যেতে পারে। আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, রসুল (সা.) নিম্নে উল্লিখিত দোয়াটি পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়ফুঁক করতেন। ‘আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি উজহিবাল বা’সি, ইশফিহি ওয়া আনতাশ-শাফি, লা শিফায়া ইল্লা শিফায়ুকা শিফায়ান লা ইউগাদিরু সাকমা।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী, আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী, আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ না থাকে। (বুখারি) সর্বোপরি কেউ যেন আমাকে জাদু করতে না পারে সেজন্য নিজেকে সর্বদা আমলের মধ্যে থাকতে হবে।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

কিউএনবি/অনিমা/০৬ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সকাল ৮:৩২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit