ডেস্ক নিউজ : জীবনের প্রয়োজনে, দ্বিনি অথবা দুনিয়াবি কাজে অনেক সময় আমাদের একসঙ্গে বসতে হয়। পরস্পর মতবিনিময়, আলোচনা ও পর্যালোচনা করার প্রয়োজন হয়। যখন আমাদের এভাবে যৌথ কথোপকথন হয়, তখন নিজেদের অজান্তেই আমাদের এমন কিছু কথা হয়ে যায়, যেগুলো আমাদের জন্য পরবর্তী সময়ে ক্ষতির কারণ হয়। কখন যে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কথা থেকে অহেতুক গল্পের দিকে চলে যাই। ঠাট্টা-মশকরা, গিবত-শেকায়াতসহ নানা গুনাহে জড়িয়ে যাই। কখনো পরস্পর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বাস্তবে যদি অনুসন্ধান করা হয়, তাহলে এমন মজলিস খুব কমই পাওয়া যাবে, যেখানে এ ধরনের অহেতুক অপ্রয়োজনীয় কথা হয় না।
প্রিয় নবী (সা.)-এর এ ক্ষেত্রে আমল কী ছিল? আয়েশা (রা.)-এর কণ্ঠে ফুটে উঠেছে সে কথা। তিনি বলেন, প্রিয় নবী (সা.)-এর এমন কোনো বৈঠক নেই, তিলাওয়াত নেই, নামাজ নেই, যা শেষ করার পর তিনি দোয়া পড়তেন না। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো মজলিসে বসতেন অথবা নামাজ আদায় করতেন, তখন কিছু বাক্য উচ্চারণ করতেন। আয়েশা (রা.) তাঁকে ওই বাক্য সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কেউ যদি ভালো বাক্য বলে তাহলে সেগুলো কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর মোহরস্বরূপ হবে। আর সে যদি অন্য ধরনের (খারাপ) বাক্য বলে তা হলে সে বাক্যগুলো তাঁর জন্য কাফফারাস্বরূপ হবে। (সে বাক্যগুলো হলো, ‘সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলায়কা’
(অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি তোমার প্রশংসার সঙ্গে তোমার পাক-পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোনো মাবুদ নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং তোমার কাছে তাওবা করছি)। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৩৪৪) আমাদের ভার্চুয়াল বৈঠক কিংবা সশরীরে বৈঠক যেকোনো ধরনের বৈঠক হোক না কেন সব ক্ষেত্রেই আমরা এই দোয়াটিকে নিজেদের জীবনের অপরিহার্য বানিয়ে নিই। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:০৫