ডেস্ক নিউজ : হোটেলবয়ের কাজ হলো, কাস্টমারকে অভ্যর্থনা জানানো, খাবারের অর্ডার নেওয়া, খাবার পরিবেশন করা ও তাদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখা। রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে অনেকে হোটেলবয়কে কিছু বকশিশ দিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, যদি হোটেলবয়কে বকশিশ দেওয়ার উদ্দেশ্য হয় হোটেল থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়া, যেমন অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ বা খাবারের বিল কম দেখানো অথবা এমন বাড়তি সুবিধা গ্রহণ করা, যা অনুমোদিত নয়; তাহলে এমন বকশিশ দেওয়া-নেওয়া উভয়টাই হারাম। কারণ তা ঘুষ।
সুতরাং উভয়ের জন্যই তা হারাম। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়ের ওপর আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৫৮০; তিরমিজি, হাদিস : ১৩৩৭) পাশাপাশি এর মাধ্যমে রেস্তোরাঁর মালিককে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। আর এটি অন্যের হক নষ্ট করারও শামিল, যা কবিরা গুনাহ।
কিন্তু যদি যথারীতি খাবার গ্রহণের পর হোটেলবয়কে খুশি হয়ে স্বেচ্ছায় কিছু টাকা বকশিশ দেওয়া হয়, তাহলে তাতে দোষের কিছু নেই। বরং এতে একজন গরিব মানুষকে খুশি করা বা আর্থিক সহযোগিতা করার সওয়াব পাওয়া যাবে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘সবচেয়ে উত্তম আমল কোনটি? তিনি বলেন, সবচেয়ে উত্তম আমল হলো, তোমার কোনো ঈমানদার ভাইয়ের অন্তরে আনন্দ সঞ্চার করা বা তার ঋণ পরিশোধ করা কিংবা তাকে একটি রুটি খাওয়ানো। ’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ১০৯৬) এমনকি সে যদি অমুসলিমও হয় তার পরও সওয়াব আছে। এটি বদান্যতা এবং উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:০৮