ডেস্ক নিউজ : সাক্ষ্য আইনে নারীর প্রতি অবমাননাকর ও বৈষম্যমূলক ১৫৫ (৪) ধারা বাতিল ও ১৪৬ (৩) ধারার সংশোধন করে জাতীয় সংসদে আইন পাস করায় ১৭টি সংগঠন নিয়ে গঠিত ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট সাধুবাদ জানাচ্ছে।
এই ধারা এত দিন আইনে সংযুক্ত থাকায় ধর্ষণ অপরাধ প্রমাণের মূল উপাদান ‘সম্মতি’কে গুরুত্ব না দিয়ে প্রতি ক্ষেত্রেই ধর্ষণের শিকার নারীর ‘চরিত্র’ ও ‘অতীত যৌন ইতিহাস’কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয় না বা বিচার চাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যা অভিযুক্তকে অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে সাহায্য করে।
এই বৈষম্যমূলক ধারার সংশোধনী ধর্ষণের শিকার নারীর ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করবে এবং আইনগত সুরক্ষা পেতে সাহায্য করবে। ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট আশা প্রকাশ করছে, সংশোধিত সাক্ষ্য আইনের প্রয়োগে আইনজীবী ও বিচারক যার যার অবস্থান থেকে যথেষ্ট সচেষ্ট থাকবেন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন।
ধর্ষণ আইন সংস্কার জোটের উত্থাপিত ১০ দাবির মধ্যে অন্যতম একটি দাবি ছিল, ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্রগত সাক্ষ্যের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:১৪