বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ: এক ম্যাচে ৬ রেকর্ড ঢাকার ১১ স্থানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১৩১ ৯ বলের সুপার ওভার, পাঁচ বলে ৫ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ চিকিৎসক হয়েও সুরের ভুবনে ঝংকার তুলছেন রানা প্রশাসনে রদবদল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি তাঁবেদার থেকে দেশ রক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে: রেজাউল করিম দৌলতপুরে ক্লিনিক ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসা : আটক-২ অবিশ্বাস্য থ্রোতে ভাঙল ৪৪ রানের জুটি, বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মিরাজ ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে”–কুড়িগ্রামে পথসভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ কিম বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা জোরদারের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়ার

আওয়ামী লীগ জিয়া’কে সহ্য করতে পারে না : খন্দকার মোশাররফ

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ৮৯ Time View

ডেস্কনিউজঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের ব্যর্থতার কারণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উত্থান হয়েছে। তিনি অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি জানান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে “বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব” শীর্ষক এই আলোচনা সভার করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের টার্নিং পয়েন্ট ছিলো ৭ নভেম্বর। যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ৭২-৭৫ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। এরপর দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিলো। তাদের নেতা আক্ষেপ করে বলেছিলেন সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেলাম চোরের খনি। সেসময় দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিলো।রক্ষী বাহিনীর দ্বারা ৩০ হাজার লোককে হত্যা করেছিলো।

মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছিলো। ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা কারা ঘটিয়েছে এটা পরবর্তী সরকার যারা প্রতিষ্ঠা করেছে সেখানে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে আরেকটি আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। এরপর ২ নভেম্বর রাত থেকে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোন্দলের কারণে আরেকটি সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ঘটে। এসময় জিয়াউর রহমানকে পদত্যাগে বাধ্য করে ও তাকে বন্দি করে। অনেক ঘটনা পাল্টা ঘটনা ঘটে। সেসময় ৩-৬ নভেম্বর পর্যন্ত সরকার ছিলো না। রেডিও, টিভি বন্ধ ছিলো। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হারিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছিলো।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঠিক সেসময় ৭ নভেম্বর দেশের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এজন্য ৭ নভেম্বর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দুটি বিষয় দেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত একটি- জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব। অর্থাৎ দুইটি বিশেষ দিনে জিয়াউর রহমান জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার কারণে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তেমনি ৩-৬ নভেম্বর যখন রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতা তখনো জিয়াউর রহমান জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সিপাহী জনতা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই দিনকে গুরুত্ব না দিয়ে “মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস” পালন করছে। আসলে তারা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা সহ্য করতে পারে না।

তিনি বলেন, একটি আধুনিক উন্নত ও স্বনির্ভর দেশ গড়তে মনোনিবেশ করেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করেছিলেন। অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে শিল্প খাতে বিনিয়োগ করেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। রাস্তায় হেঁটে হেঁটে মানুষকে সংগঠিত ও উজ্জীবিত করেছিলেন। গ্রাম সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে আধুনিকায়ন করেন। আজকে আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারে না। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছেন। অর্থাৎ যেখানে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতারা ব্যর্থ। সেখান জিয়াউর রহমান সফল। যার প্রমাণ ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকেও দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে অবৈধ ভোট ডাকাতির সরকার। তারা অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। আমার যেসব বিষয় নিয়ে এতদিন বলে আসছি। আজকে আইএমএফ কিন্তু সেগুলো নিয়ে ঠিকই প্রশ্ন করছে। কেনো তেলের দাম বেড়েছে? কেনো প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ ? আর আজকে গায়ের জোরের প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশে দুর্ভিক্ষ আসবে।

তিনি বলেন, আজকে দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। কারণ এই সরকার সবক্ষেত্রে ব্যর্থ। দেশে মানবাধিকার লংঘনের কারণে আমেরিকা র‌্যাব ও সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশে নিতপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এখান থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। আজকে তারা দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের চিন্তা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে লেগে আছে। আমাদের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই সরকার এমনিতে যাবে না। আইয়ুব খান যায়নি। এরশাদ যায় নি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের বিদায় হয়েছে। তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান তৈরি করে তাদের বিদায় করা হবে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডাঃ মোঃ আবদুস সালাম, ডাঃ মেহেদী হাসান ও ডাঃ সায়ীদ মেহবুব উল কাদিরের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।

কিউএনবি/বিপুল/০৮.১১.২০২২/সন্ধ্যা ৬.৩৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit