আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টেলিভিশনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পাকিস্তান। তবে তীব্র সমালোচনার মুখে এর কয়েক ঘণ্টা পরই সে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয় শেহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অর্থাৎ বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আইনিব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এর আওতায় ইমরান খানের বক্তব্য সম্প্রচারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই দেশটির ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ইমরান খান তার ওপর বন্দুক হামলা নিয়ে মিথ্যাচার ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। তাই তার এ সংক্রান্ত বক্তব্য টেলিভিশনে সম্প্রচার বা পুনঃসম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
এর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশটির তথ্যমন্ত্রীর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গণতান্ত্রিক নীতি এবং সাংবিধানিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা ইমরান খানেরই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও মনোভাব। তাই যদি ইমরান খান সরকারের বিপক্ষে কথা বলতে চায়, তাকে বলতে দিন। কারণ যত তিনি আমাদের বিরুদ্ধে জনগণের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রচার করবে, তত সত্য জনসাধারণের সামনে পরিষ্কার হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:৪৪