স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : মৃত্যু পথযাত্রী প্রিয় মায়ের উদ্দেশ্যে আহাজারি করতে করতে ছেলে বলেছিলেন মা আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না। তুমি ওপারে যাও, আমিও তোমার সাথে আসছি। সেই বৃদ্ধা মায়ের মৃত্যু সহ্য করতে পারেনি ছেলে আবদুর রহিম। মায়ের মৃত্যুর মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে হার্ড এ্যাটাকে মায়ের লাশের পাশেই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামে। মা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বুধবার সকাল ১১ টার দিকে হাজারো মুসল্লিদের অংশগ্রহনে স্থানীয় হাফিজীয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।
জানাযায়, হানুয়ার গ্রামের মৃত কায়েম মোল্যার বৃদ্ধা স্ত্রী জাহানারা বেগম(৮০) দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভূগছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার অবস্থার অবনিত হয়। এ সময় মায়ের মৃত্যু শয্যার পাশে বড় ছেলে আবদুর রহিম বসে আহাজারি করছিলেন। ক্রমেই মায়ের আবস্থার অবনতি হলে বড় ছেলে আর্তনাদ করছিলেন আর বলছিলেন, মা আমি তোমাকে ছাড়া এ পৃথিবীতে বাচবোনা, মা তুমি ওপরে যাও আমি তোমার সাথে আসছি। এক পর্যায়ের মায়ের মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর ঠিক পাঁচ মিনিট পর হার্ডএ্যাটাকে(হৃদরোগ) মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ছেলে আবদুর রহিম(৬০)।
আবদুর রহিমের ছেলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, তার পিতা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগি ছিলেন। তার পিতা ছোটবেলা থেকেই দাদি(মা)কে খুব ভাল বাসতেন। মঙ্গলবার রাতে মায়ের অন্তিম শয্যার পাশে পরিবারের অন্যান্যদের পাশপাশি আবদুর রহিমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আবদুর রহিম আহাজারি করছিলেন আর মাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন ’মা আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না’। মা তুমি ওপরে যাও, আমিও তোমার সাথে আসছি। মায়ের মৃত্যুর মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে হার্ড এ্যাটাকে মৃত্যু হয় ছেলের। মাÑছেলের মৃত্যুর খবরে এলাকার হাজারো মানুষ তাদেরকে শেষবার দেখতে আসেন। বুধবার সকাল ১১ টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-ছেলের লাশ দাফন করা হয়।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:৫৮