০১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি নিরসনের জন্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে “অভিযোগ সেল” গঠন করতে হবে।যেখানে সেবাগ্রহীতারা সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদির ভিত্তিতে অভিযোগ জানাতে পারেন।
০২. প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজড করতে হবে।
০৩. নিরাপত্তা ও হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে অফিস সমূহের অভ্যন্তরে প্রতিটি রুমে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
০৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিস সমূহের প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করতে হবে। ডিসপ্লেতে অফিস সমূহের নাম,কক্ষ নম্বর ও সেখানে প্রদত্ত সেবার বিবরণী, কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম ও ছবি সহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি প্রদর্শন করতে হবে।
০৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনেরও সংস্কার করতে হবে।
০৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক-বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানুষিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতমূলক করতে হবে।প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মানসিক সেবা প্রদানকারী বিভাগ ও সেন্টারসমূহের শরণাপন্ন হতে হবে।
০৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত থাকতে পারবে না। সে নিরিখে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবসমূহে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে।
০৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচারণা পরিবেশবান্ধব করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখতে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য হানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী অপ্রয়োজনীয় পোস্টার লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এদিকে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এর ৮ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অনশনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে সংযুক্ত ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্র
মোঃ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ কে ” অভয় দিয়েছেন” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মোঃ তানজিম উদ্দিন খান।
আমরণ অনশনের বিষয়ে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ভিসি স্যার বললেন যে আমি নাকি মাত্রারিক্ত করতেছি। তিনি বললেন যে, আমরা যেন যা ইচ্ছা তা করি। তিনি (ভিসি) জানান যে প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তাদের পারিবারিক শিক্ষার অভাব। আশঙ্কা প্রকাশ করে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, “আমার সামনে পরীক্ষা। আমার যত ক্ষতি হবে, তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব ।