সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১২০ Time View

ডেস্কনিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বাগেরহাটের রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের ইউনিট-১ এর উদ্বোধন করেছেন।

ভারতের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এ প্রকল্পটি বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে ১৩২০ মেগাওয়াট যুক্ত করবে।

এর আগে শেখ হাসিনা ও মোদি হায়দরাবাদ হাউজে এক বৈঠকের পর সাতটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি অক্টোবরের শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে। এটি বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি বড় অগ্রগতি।

১৩২০ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে ইউএনবিকে বলেছেন, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালু হয়ে গেলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২, যা রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নামেও পরিচিত। এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপালে ১৩২০ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে।

বিপিডিবি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেডের (বিএইচইএল) জন্য বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এটি নির্মাণ করছে। বিআইএফপিসিএল হলো ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) লিমিটেড ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যকার একটি ৫০:৫০ উদ্যোগ।

প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, পরিবেশগত প্রভাব কার্যকরভাবে প্রশমিত করতে সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।

পান্ডে বলেন, ফ্লু গ্যাস নির্গমনের বিস্তৃত বিচ্ছুরণের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা চিমনি (২৭৫ মিটার) রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কয়লার জন্য একটি অগ্রিম জাহাজ আন-লোডার নির্মাণের পাশাপাশি একটি সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত কয়লা স্টক ইয়ার্ড, কম ছাই ও সালফার সামগ্রী সহ উচ্চ গ্রেডের আমদানি করা কয়লা ব্যবহারসহ অন্যান্য ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রকল্পের পরিচালক বলেন, গত ৬ এপ্রিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চার শ’ কেভি জিআইএস সুইচইয়ার্ড ও আন্তঃসংযোগকারী ট্রান্সফরমারটি সক্রিয় করা হয়েছিল। তারপর থেকে এটি পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের ২৩০ কেভি গ্রিড সিস্টেমে চার শ’ কেভি বিদ্যুতের হুইলিং সুবিধা প্রদান করছে। যাতে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে খুলনা অঞ্চলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাঠাতে সক্ষম হয়।

সূত্র : ইউএনবি

কিউএনবি/বিপুল/০৬.০৯.২০২২/ বিকাল ৫.৫০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit