ডেস্ক নিউজ : কলসিতে করে বিরামপুর শহরের দোকানে দোকানে পানি বেঁচে সংসার চালান বৃদ্ধা আঞ্জুয়ারা। তিনি সকালে ৫ কিলোমিটার দূর থেকে সপ্তাহের দুদিন বিরামপুর হাটে এসে টিউবওয়েল চেপে পানি তুলে সন্যাঞ্ পর্যন্ত বিক্রি করে রোজগার করেন ২০০ টাকা।
পরে তিনি অসুস্থতার কারণে সেই কাজ ছেড়ে দেন। বিরামপুর শহরে সপ্তাহে দুদিন বড় হাট বসে। এই হাটে হোটেল, মিষ্টি ও চায়ের অস্থায়ী দোকানে পানি সরবরাহের কাজ শুরু করেন। প্রায় ১২ বছর ধরে টিউবওয়েল চেপে পানি তুলে দোকানে দোকানে বিক্রি করে আসলেও তার মজুরি বাড়েনি।
৫টি দোকানে দিনভর পানি দিয়ে মজুরি পান ১৫০ টাকা এবং একটি দোকানদার দেয় ১০০ টাকা। প্রতি হাটে এই ২৫০ টাকা মজুরি পেলেও বাড়ি থেকে যাতায়াতে তার ৫০ টাকা খরচ হয়। হাট প্রতি মজুরি ২০০ টাকা এবং বিধবাভাতার টাকায় এক কন্যাসন্তানকে নিয়ে কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ করেন।
অসুস্থতার কারণে কলসিতে করে পানি সরবরাহ তার জন্য কষ্টকর হলেও জীবিকার তাগিদে এ ছাড়া তার কোনো উপায় নেই। তবে বসে থাকার কোনো কাজ পেলে তিনি বাঁকি জীবন স্বস্তিতে কাটাতে পারবেন বলে জানান। এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, ওই নারী আমাদের কাছে আবেদন করলে তাকে দোকান করে দেওয়া বা আর্থিক সহায়তা দিয়ে স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:৫৫