বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। পরে অপহৃত ব্যক্তির স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা হয়েছে এক লাখ টাকা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি প্রতারকদের। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন। উদ্ধার করা হয়েছে মুক্তিপণ হিসেবে বিকাশের মাধ্যমে নেওয়া ৯০ হাজার টাকা।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভোলাকুট গ্রামের মো. জালাল উদ্দিন (৪০), সদর উপজেলার সুহিলপুরের মো. শাহীনূর (৩৪) ও একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক (৬০)। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বিরাসার এলাকার ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সখ্যতা গড়ে তুলেন এক নারী। গত ২ সেপ্টেম্বর ওই নারীসহ পাঁচ-ছয়জন পীরবাড়ি এলাকায় আলমগীর হোসেনকে ডেকে নিয়ে কৌশলে অপহরণ করে। আলমগীরকে নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার জালাল উদ্দিনের বাড়িতে আলমগীরকে আটকে রেখে স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ অবস্থায় বিকাশের মাধ্যমে দু’ফায় মোট এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। বিষয়টি আলমগীর লিখিত ও মৌখিকভাবে পুলিশকে অবহিত করে। গত শনিবার রাতে নাসিরনগরের ভলাকুট গ্রামের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এক অভিযানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৯০ হাজার টাকা।
বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই প্রবাসফেরত ব্যক্তিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ভিডিও ধারণ ও সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে একজনের মোবাইল ফোনে বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও পাওয়া গেছে, যা দেখে বুঝা যায় যে চক্রটি এ ধরণের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।এদিকে সরাইলের দুই প্রবাসফেরত ব্যক্তি শাকিল মিয়া ও সোহরাব মিয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে টাকা আদায়ের ঘটনায় গত ১৭ আগস্ট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরার আব্দুল আহাদ, ববিতা বেগম, নয়া পুকুরপাড়ের মো. সাজন, মজলিশপুরের লিপি আক্তার, ভাদুঘরের মশিউর রহমান, জেলার নাসিরনগর উপজেলার জহুরা বেগম।
কিউএনবি/অনিমা/০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:১৫