রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সংঘাতের পর প্রথমবার জনসম্মুখে এলেন খামেনি আশুলিয়ায় বিসিডিএস এর মতবিনিময় সভা  দৌলতপুরে বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বাচ্চু মোল্লা সভাপতি : বিল্লাল হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমেই এই দেশ পুনর্গঠন করতে হবে — নাহিদ ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত,আ.লীগ নেতার মায়ের মৃত্যু শুধু শেখ হাসিনার পতন নয়, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে- জয়পুরহাটে নাহিদ ইসলাম মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো কেউ জঙ্গি নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরিবারে সুখ ফেরাতে বিদেশে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন শার্শার রনি শার্শায় গৃহবধূকে গনধর্ষণের অভিযোগ কোম্পানীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণের মৃত্যু

জাহালমকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল ব্র্যাক ব্যাংক

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : বিনা দোষে পাটকল শ্রমিক জাহালমের জেল খাটার ঘটনায় বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার টাকা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জাহালমকে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি এখন আদালতকে জানানো হবে।

জাহালমকে সাত দিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের নির্দেশের তিন দিনের মধ্যেই এই টাকা দিয়েছে ব্যাংকটি।

গত সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত সাত দিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে আগামী ৩১ অক্টোবর এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেয় চেম্বার আদালত।

জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে গত ৭ আগস্ট হাইকোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়।  ৮৮ পৃষ্ঠার রায়ে জাহালমের ঘটনার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্রাংকের সমালোচনা করে উচ্চ আদালত।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে ব্র্যাক ব্যাংককে বলা হয়। টাকা পরিশোধ করে এক সপ্তাহ পর রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরে এ রায়ের বিরদ্ধে আপিল আবেদন করে ব্র্যাক ব্যাংক। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেয়।

তিন বছর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। পরে আদালত এ ঘটনায় জাহালমকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেয়।

এরপর ফের তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। সে সময় বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ৭ আগস্ট।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন আইনজীবী ও বর্তমান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারের অমিত দাশগুপ্ত।

তখন বিষয়টি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি জাহালমকে কেন মুক্তির নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত।

ওই রুলের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেয় এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চায়। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করে।

পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফআইআর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট এবং সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে দুদককে নির্দেশ দেয়।

এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল জাহালমকাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুদকের প্রতিবেদন চায়। পরবর্তী সময়ে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়।

২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই রুলের ওপর শুনানি হয়। পরে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

কিউএনবি/অনিমা/০১.০৯.২০২২/বিকাল ৪.৫৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit