জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ আখতারুজ্জামান বলেছেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের জন্য সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।নানাভাবে সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু নানাভাবে সমাজে অবদান রাখতে সক্ষম এমন ব্যক্তিদের কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও যেন সমাজে পিছিয়ে না পড়ে , সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আজ ৩১ আগস্ট (২০২২) বুধবার দুপুর ১২:০০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ব্রেইল থেকে বাংলা টেক্সট’-এ রূপান্তর করার একটি প্রোটোটাইপ সফ্টওয়্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ কথা বলেন।গবেষক দলের সদস্যদের নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ আখতারুজ্জামান সফ্টওয়্যারটি উদ্বোধন করবেন।এপ’সটির ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন,ব্যক্তিগত এবং প্রতিষ্ঠান উভয় পর্যায়ে এই এপ’স টি ব্যবহার করা হবে। উভয় পক্ষের ফল পাওয়ার সুযোগ আছে।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ট্রায়াল হিসেবে এটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হবে । যেহেতু আইসিটি মন্ত্রণালয় এখানে অর্থায়ন করেছে , তাদের সহযোগিতা নিয়ে এটা বাজারজাত করা হবে।তিনি আরো বলেন, শোকাবহ আগস্ট মাসে শোক কে শক্তিতে পরিণত করার জন্য আমাদের কিছু পরিকল্পনা ছিল।তাই আগস্টের শেষদিনে আমরা এটা উদ্বোধন করেছি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ছাত্র ও শিক্ষকরা উদ্ভাবন এবং গবেষণায় মনোযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ শোয়াইব-এর নেতৃত্বে একদল গবেষক এই সফ্টওয়্যারটি উদ্ভাবন করেন।
সফ্টওয়্যারটির ব্যবহার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেন তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর আহমেদুল কবির। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় ব্রেইল পদ্ধতি থেকে নিজ নিজ ভাষায় রুপান্তরিত করার এপ’স থাকলেও বাংলা ভাষায় কোন এপ’স ছিল না।বাংলাদেশে আমরা ব্রেইল পদ্ধতি থেকে বাংলা ভাষায় রূপান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি।যারা আমাদের কে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন,শিক্ষক, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কয়েকজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।