খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর পৌরসভা, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুই কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। বিল পরিশোধে মাথাব্যাথা নেই সরকারি এ তিন প্রতিষ্ঠানের। বারবার চিঠি দিয়েও সমাধান পাচ্ছেনা শরীয়তপুরের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। এর মধ্যে শরীয়তপুর পৌরসভার বকেয়া এক কোটি ৭৬ লাখ, জেলা পুলিশের বকেয়া ৩৬ লাখ ও ক্রীড়া সংস্থার বকেয়া দুই লাখ টাকা।
শরীয়তপুরের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভার গত ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে দুই কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছিল। একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর কয়েক ধাপে ২০ লাখ টাকার মতো বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তবে এখনো তাদের বকেয়া এক কোটি ৭৬ লাখ টাকার ওপরে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের পুলিশ লাইন্স ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ৩৬ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে।
অন্যদিকে শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুই লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তাদেরও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।শরীয়তপুর ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বকেয়া বিলের জন্য তিন প্রতিষ্ঠানকেই একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে পেছনের বকেয়া থেকে কিছু টাকা পৌরসভা ইতিমধ্যে পরিশোধ করেছে। অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সাড়া মিলেনি।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, আমি দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পরেই দেখি পৌরসভার দুই কোটি টাকার মতো বিল বকেয়া রয়েছে। ইতিমধ্যে ২০ লাখ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়েছে। চলতি কোন বিল বকেয়া নেই। শিগগিরই বকেয়া বিল ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে।শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, গত সপ্তাহে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যেই ৩৬ লাখ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি জেনেছি। বরাদ্দ এলেই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।