খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : মো. আদেলউদ্দিন খন্দকার নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার প্রতিবেশীদের দ্বারা উৎপাতের শিকার হয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি নির্মাণের পর থেকেই প্রতিবেশীদের গলার কাটা হয়ে আছেন এই মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার। এই বিষয়ে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে একাধিক মামলা করেও উৎপাতের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই যুগের বেশী সময় ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আদেলউদ্দিন খন্দকার শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বাড়ি করার পর থেকেই প্রতিবেশী কামাল হোসেন (চানমিয়া) সরদার, ছালাম সরদার, নুরে আলম সরদার ও কল্পনা বেগমদের দ্বারা উৎপাতের শিকার হয়ে আসছেন। এই বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। অনেক মামলা মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে নিস্পত্তি হয়েছে। এখনও একটি মামলায় আদালত নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। কোন কিছুই প্রতিপক্ষ মানতে নারাজ। এমনাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় এই প্রতিবেশীদের দ্বারা মুক্তিযোদ্ধা মো. আদেলউদ্দিন খন্দকার ও তার পরিবারের জীবন নাশের আশঙ্কা রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মো. আদেলউদ্দিন খন্দকার বলেন, তিনি গোসাইরহাট উপজেলার শীবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৯ সনে তিনি আবুল সরদার ও বাবুল সরদারের কাছ থেকে দক্ষিন মধ্যপাড়া মৌজায় এসএ ১২-১৩ নং (হাল ১৬-১৭) নং দাগের ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে বসত বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ি নির্মাণের পর থেকেই প্রতিবেশী কামাল হোসেন (চানমিয়া) সরদার, ছালাম সরদার, নুরে আলম সরদার ও কল্পনা বেগমদের দ্বারা উৎপাতের শিকার হয়ে আসছেন। তিনি আবুল সরদার ও বাবুল সরদারের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন। সেই জমির মালিকানা নিয়ে তখন কোন সমস্যা ছিল না। বর্তমানে প্রতিপক্ষ একটি জটিলতা সৃষ্টি করে আমাকে হয়রাণী করে আসছে।
এই বিষয়ে কামাল হোসেন চান মিয়া বলেন, আবু সরদার ও বাবুল সরদারের কাছে আমার চাচারা জমি বিক্রি করে। আমাদের সকল জমি ৪ দাগে বিভক্ত ছিল। ভোগ দখলের সুবিধার্থে এওয়াজ বদল করে নেই। পরে আবু সরদার ও বাবুল সরদারের কাছ থেকে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করেছে মুক্তিযোদ্ধা। তার জমির মধ্যে আমাদের কোন অংশ নাই। সে আমাদের জমির মধ্যে অংশ পাবে বলে অপপ্রচার চালায়। এছাড়া আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নাই। এর পরেও আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। এলাকায় এসে খোঁজ নিলে বুঝতে পারবেন কে কাকে উৎপাত করে।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:৪৮