ডেস্ক নিউজ : কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ব্যবসায় ডিজিটালাইজেশনের প্রভাব চোখে পড়ার মত। ছোট, মাঝারি কিংবা বড় সব ব্যবসাই এখন অনলাইনে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করছে। কোভিড সময়ে যখন থেমে গিয়েছিলো স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, তখন মানুষ বুঝতে পারে অনলাইনের গুরুত্ব। তখনই মূলত অনলাইন উপস্থিতিই সচল করেছিলো সবাইকে।
আর এই অনলাইন ব্যবসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোম ডেলিভারি সেবা। যত ঝামেলাহীন ডেলিভারি ততটাই সন্তুষ্ট ক্রেতা এবং বিক্রেতা।
আসুন এবারে শুনি, চট্টগ্রামের একজন সফল উদ্যোক্তা সুরাইয়া তাসনিমের গল্প। কোভিডের দুই মাস আগে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কোভিড সময়ে তার আর্থিক উপার্জন বলতে গেলে বন্ধই হয়ে যাচ্ছিলো।
সে সময় তিনি তার চারজনের পরিবার সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য শুরু করেন নিজের হ্যান্ডক্র্যাফটেড পণ্যের অনলাইন শপ। তার পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়তে থাকে এবং অর্ডার আসতে থাকে। কিন্তু এ সময় তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কারণ গ্রাহকদের অর্ডার করা পণ্যটি সঠিকভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার উপায় তার জানা ছিল না।
যে কারণে অনলাইনে বেশ ভালো পরিমাণে অর্ডার আসলেও গ্রাহকদের কাছে সময় মতো ডেলিভারি হচ্ছিল না তার পণ্য। তিনি যে তৃতীয় পাক্ষিক ডেলিভারি সার্ভিসটি ব্যবহার করছিলেন তারা ঠিকভাবে ডেলিভারির কাজটি করতে পারছিলো না, এছাড়া প্রোডাক্ট হারিয়ে যাওয়ার মত সমস্যাও দেখা দিচ্ছিলো হর-হামেশাই।
এতে কাস্টমারের কাছে নিজ হাতে তিল তিল করে গড়ে তোলা অনলাইন শপটির একটি নেতিবাচক ধারণা হচ্ছিলো এবং সেটার প্রভাব তার ব্যবসাতেও পড়ছিল বলে জানান, সুরাইয়া তাসনিম।
তখন তিনি অন্য অনলাইন শপ মালিকদের পরামর্শ নিতে গিয়ে বুঝতে পারেন ডেলিভারি নেটওয়ার্ক এবং স্মার্ট ডেলিভারিম্যানের অভাবে এটা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে এমন ডেলিভারি সার্ভিস কোথায় আছে খুঁজতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন পাঠাও কুরিয়ারের নাম এবং সেখানে মার্চেন্ট হিসেবে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেন।
সেই থেকে আজ প্রায় দুই বছরের উপর তিনি আছেন পাঠাও কুরিয়ারের সাথেই। সুরাইয়া তাসনিম বলেন, “নানারকম লাগাতার সমস্যায় যখন ভেবেছিলাম অনলাইন শপটি বন্ধই করে দিতে হবে। ঠিক তখনই যেন আলো হয়ে আসে পাঠাও কুরিয়ার। পাঠাও কুরিয়ার ব্যবহারের শুরু থেকে বলতে পারি এখন পর্যন্ত একটি প্রোডাক্টও হারিয়ে যায়নি বা ডেলিভারি মিস হয়নি। কাস্টমার যখন ডেলিভারি নিয়ে ১০০% স্যাটিসফাইড থাকে, তখন সেটা ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নেয়। আর ঢাকার বাইরের উদ্যোক্তা হয়েও সেই স্যাটিসফেকশন ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে পাঠাও কুরিয়ারের জন্যই। কৃতজ্ঞ আমি ও আমার উদ্যোগ।”
এমন হাজারও উদ্যোক্তারর সাহসী গল্পে সহযোগী হয়ে পাশে রয়েছে পাঠাও কুরিয়ার।
কিউএনবি/অনিমা/২০ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:০০