ডেস্ক নিউজ : সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেই ইংল্যান্ডের তিন প্রধান পেসার—ব্রাইডন কার্স, জশ টাং ও ক্রিস ওকস—অত্যধিক পরিশ্রম করেছেন; প্রত্যেকেই করেছেন ৭৭ ওভারের বেশি। শারীরিক ক্লান্তি এবং ধারাবাহিক খেলার চাপ মোকাবিলায় এবার পেস আক্রমণে আনছে পরিবর্তন ইংলিশরা। বিকল্প বোলার হিসেবে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে গাস অ্যাটকিনসন, জফরা আর্চার, স্যাম কুক এবং জেমি ওভারটনকে।
বিষয়টি নিয়ে অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেছেন, “এই সিরিজে আমরা অনেকটা সময় মাঠে কাটিয়েছি, প্রচুর ওভার করেছি। সামনে দ্রুতই পরবর্তী ম্যাচ, তাই দলের ফিটনেস দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরিবর্তন আসাটা স্বাভাবিক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এর আগেও দুর্দান্ত কিছু জয় পেয়েছি, আবার বড় হারও দেখেছি। আমি এবং পুরো দল এই ওঠানামার মধ্যেও মানসিকভাবে স্থির থাকতে জানি। এই হারের ধাক্কা পেছনে ফেলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোই এখন মূল লক্ষ্য।”
স্টোকস বলেন, “আমরা এর আগেও দুর্দান্ত কিছু জয় পেয়েছি, আবার বড় হারও দেখেছি। আমি এবং পুরো দল এই ওঠানামার মধ্যেও মানসিকভাবে স্থির থাকতে জানি। এই হারের ধাক্কা পেছনে ফেলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোই এখন মূল লক্ষ্য।”
এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৬ রানে হার ছিল বেন স্টোকসের অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় পরাজয়গুলোর একটি। তবে অধিনায়ক স্টোকস এ নিয়ে ভেঙে পড়ছেন না। আবারো নতুন করে শুরু করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় স্টোকস। আর সে যাত্রায় তার বোলিং ইউনিট আরো ক্ষুরধার করা দরকার। ইংল্যান্ডের কোচ জানিয়েছেন, আর্চারও এখন প্রস্তুত আছেন।
জফরা আর্চারের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম জানান, “সে পুরোপুরি ফিট এবং খেলার জন্য প্রস্তুত। আমাদের কয়েকজন বোলার পরপর দুই টেস্ট খেলেছে, তাই পরিবর্তন আসবেই। আর্চার অবশ্যই বিবেচনায় থাকবে।”
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর কোনো টেস্ট খেলেননি আর্চার। তবে এজবাস্টনের বিরতিতে নিয়মিত বল করতে দেখা গেছে তাকে, যা তার ফিটনেস ফিরে পাওয়ারই ইঙ্গিত দেয়।
ইংল্যান্ডের স্কোয়াড:
বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, জ্যাকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, স্যাম কুক, জ্যাক ক্রোলি, বেন ডাকেট, জেমি ওভারটন, অলি পোপ, জো রুট, জেমি স্মিথ, জশ টাং ও ক্রিস ওকস।
কিউএনবি/অনিমা/০৭ জুলাই ২০২৫,/সকাল ১১:৩৪