এম রায়হান চৌধুরী,চকরিয়া প্রতিনিধি : কক্সবা্জারে এলও অফিসে দালাল চক্র আবার সক্রিয় হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই দালাল চক্রের কারণে অধিগ্রহন করা জমির কোটি কোটি টাকা পাওনা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ভূ-মালিকরা।জানাগেছে, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরে চিরিঙ্গা মৌজার বিএস ৩৩ খতিয়ানের বিএস ৭৩৬ ও বিএস ৭৫৪ দাগের ইতোপূর্বে অধিগ্রহনকৃত ২৩শতক জমির প্রকৃত মালিক নির্ণয় না করে ওই দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে ভিন্ন ব্যক্তিকে ওই জমির অধিগ্রহনের টাকার চেক প্রদানের প্রায়তারা করা হচ্ছে। ফলে অধিগ্রহনের কোটি কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছেন জমির প্রকৃত মালিক দাবীদার।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরে অধিগ্রহনকৃত ২৩শতক জমির উপর হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখে। একইভাবে হাইকোর্টে রীট আবেদন ৬০৯২/২০১৯ ও রীট নং ৮৮৭৮/২০১৯ এর রীট মামালা চলমান রয়েছে। রয়েছে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও । গত ২১ সালের ২৬ অক্টোবর ওই নিষেধাজ্ঞা ফের একবছর বাড়িয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ আদেশ ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ২০১৯ সালে ১৬ জুলাই সকল বিবিধ মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুম দখল আইন ২০১৭ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ি ক্ষতিপূরণ প্রদান নোটিশের মাধ্যমে বারিত করেন ভূমি অফিস।ভুক্তভোগি মোহাম্মদ শফিউল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ গোলাম কবির ও সাহাবউদ্দিন ওসমানিসহ একাধিক ভূমিদাবীদার জানান, ইতোপূর্বে এলও শাখার দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অধিগ্রহনকৃত ওই জমি পরিদর্শণ করে যান, কিন্তু জমির প্রকৃত মালিকানা দাবী করে আসছেন এমন অনেক ব্যক্তিদের নোটিশ না দিয়ে পরিদর্শণ করেছেন তারা। শফিউল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেন, নোটিশ না দিয়ে অনেকটা গোপনীয়ভাবে পরিদর্শন করে যান এলও অফিসের কর্তারা।
মোহাম্মদ শফিউল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ গোলাম কবির ও সাহাবউদ্দিন ওসমানি আরও জানান, কাগজে-কলমে জমির প্রকৃত মালিক না হয়েও অনেকেই দালালদের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে জমির মালিকানা সেজে কোটি কোটি টাকা লুটে নেওয়ার পায়তারা করছেন একটি প্রভাবশালী মহল। অথচ আমরা জমির প্রকৃত মালিকরা এ নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতসহ বিভিন্ন দেওয়ানী আদালতে বিবিধ মামলা করেছি‘ যেগুলো এখনো চলমান। এ প্রেক্ষিতে এলও শাখা থকে কথিত মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান বারিতও করে ওই আদালত। কিন্তু এর পরও এলও শাখার কতিপয় ব্যক্তি বিবিধ মামলার বাদী ও আপত্তিকারীদের অবহিত না করে অধিগ্রহনকৃত জমি পরিদর্শনে আসায় চরম শঙ্কিত মালিকরা। প্রকৃত মালিক নির্ণয়ে কক্সবাজার এলও, এডিসি ও ডিসি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগি লোকজন।
কিউএনবি/অনিমা/১৫ই মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১১:২৫