শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

কমলার খোসায় জাদু!

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১০০ Time View

 

লাইফ স্টাইল ডেস্ক :  হলদে রঙের বা হালকা হলদে রঙের কমলা আমরা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি। আমরা সাধারণত কমলার কোষগুলো খেয়ে এর খোসা ফেলে দেই। কমলার খোসাও খাবেন ব্যাপারটি এমন নয়। আসলে কমলার খোসারও রয়েছে নানা রকম ব্যবহার। নিচে তেমনই কয়েকটি দরকারি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হলো :

কফ ও পিত্তের সমস্যায়:
কমলার খোসার রসের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হলো এটি কফের সমস্যা ও পিত্তের যে কোন ধরনের সমস্যা দূর করে। প্রথমে কমলার খোসা পাতলা করে ছিলে নিন। এরপর ভেজিটেবল পিলারের সাহায্যে কিংবা গ্রেটারে ঘষে নিন। পরে খোসার কুচিগুলো রঙ চা তৈরির সময়েই ঢেলে দিন। সাথে  অল্প পরিমাণে আদা দিলে আরও ভাল হয়। এবার পানি একটু ফুটিয়ে আদা ও কমলার গন্ধ ছড়ালেই চায়ের মতো পান করুন। সাথে দিতে পারেন মধুও। তাহলে কফ ও পিত্ত সমস্যার অবশ্যই সমাধান হবে।

পেটের সমস্যা দূরীকরণে:
কমলালেবুর খোসা পেটের সমস্যার সমাধান করে। এমনকি গ্যাস, অ্যাসিটিডি ও বমি বমি ভাব দূর করতেও কমলার খোসার জুড়ি নেই। প্রতিদিন সকালে খোসার মিহি কুচি এক চা চামচ পরিমাণ মধুর সাথে খেয়ে নিন। তাহলে এ ধরনের সমস্যায় আর সহজে পড়বেন না। এমনকি সকালের নাস্তায় সালাদের সাথেও এটি খেতে পারেন।

ওজন কমাতে সহায়ক: 
উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যা ও ওজন কমানোর জন্য কমলার খোসা অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ এতে ট্রাইগ্লিসারাইড দ্রবীভূত থাকে যেটি সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।

অনিদ্রা দূর করে: 
কমলার খোসা মিশ্রত পানি গোসলের সময় ব্যবহার করলে এটি অনিদ্রা দূর করে। এমনকি কুসুম গরম পানিতে এর খোসা ফেলেও গোসল করা যায়। তবে চাইলে পানির সাথে খোসার তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।

ক্যান্সার ও হাড়ের রোগ প্রতিরোধে: 
কমলার খোসায় ফ্লেভোনয়েড রয়েছে যা ‘হেস্পিরিডিন’ নামে পরিচিত। এটি কোলন ক্যান্সার এবং অস্টিওপরোসিস বিরুদ্ধে কাজ করে আমাদের রক্ষা করে।

অ্যাজমা ও কাশির সমস্যা লাঘবে:  
কমলার খোসার গুঁড়ো কাশির সমস্যা দূর করে। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও অ্যাজমা উপশমে এটি কাজে লাগে। এসব কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে কমলার খোসায় তৈরি চা নিয়মিত পান করুন। আবার কমলার খোসা দিয়ে মোরব্বা বা টফিও তৈরি করে রাখা যায়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এই টফি চা পানের সময় ভালো করে চিবিয়ে খান। তাহলে রোগমুক্তি ঘটবে।

অ্যাসিডিটি দূর করতে:  
কমলার খোসার তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে যা পেটের অ্যাসিডিটি দূরীকরণে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে ডি-লিমোনেন নামের একটি উপাদান আছে যা অন্ত্র ও লিভার ফাংশনকে স্বাভাবিক রাখে। আর এর তেল পানিতে দু’ফোঁটা মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডির সমস্যা একেবারেই চলে যাবে।

কিউএনবি/অনিমা/২৬শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১১:১২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit