শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন

আগামী নির্বাচনেও প্রহসনের খেলা হবে : জাফরুল্লাহ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৭৩ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়নের নামে সরকার যেটা করতে যাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী নির্বাচনেও একটা প্রহসনের খেলা হবে। এমন মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আগের দিন পর্যন্ত আইনমন্ত্রী বললেন, সময়ের অভাবে করা যাবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী খেলা দেখায়া দিলেন, বাঁদর নাচ দেখায়া দিলেন। পরদিন মন্ত্রিপরিষদে আইনের খসড়া পাস করিয়ে দেওয়া হলো। এখনো তা জনগণকে জানানো হয়নি।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মাদকের ভয়াবহতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অ্যান্টি ড্রাগ সোসাইটি আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত আইনেও সরকারি কর্মকর্তাদের সব ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। সার্চ কমিটিতে জজ সাহেবদের রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে। যারা নিজেরাই ফাঁকিবাজ। তাদের কয়জন ধূমপান করেন, সেই হিসাব নিতে হবে। তিনি বলেন, সরকার ডোপ টেস্টে অনেক উৎসাহী। কিন্তু কতজনকে ডোপ টেস্ট করাবেন। সবগুলোতে সরকারের ভুল নীতি। সরকার তো জনগণের প্রতিনিধি না। সরকার তো নির্বাচিত সরকার না। সরকার হলো ডাকাতির সরকার।

আমলাতন্ত্রের আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, মাদকাসক্তির দায়িত্ব দেওয়া হয় এমন ব্যক্তিদের, যারা আগে এসব জায়গায় কাজ করেনি। সাইকিয়াট্রি, সাইকোলজি কিংবা ডাক্তারি- কোনো জ্ঞান নেই। ওনাদের একমাত্র কোয়ালিফিকেশন আমলা। ঠিক একইভাবে যে নির্বাচন কমিশন হবে, সেখানেও আমলার প্রাধান্য। আপনারা যদি খেয়াল করে থাকেন, ডিসি সাহেবরা ২৬৬টা দাবি করেছিলেন, তাদেরকে সব ক্ষমতা দেওয়া হোক। জনগণের মতামত দরকার নেই, তাদেরকেই ক্ষমতা দেওয়া হোক। মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স শুধু লোক দেখানো মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সকারের মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স শুধু প্রচারের জন্য। তুমি যা পারো করতে থাকো। আমি লুট করেছি রাতের বেলায় ভোট, তুমি লুট করো মাদক।

তিনি আরো বলেন, এই মাদকাসক্তির বিস্তার ঘটার জন্য সরকার দায়ী। তার চিকিৎসা না হওয়ার জন্যও সরকার দায়ী। আজকে অনৈতিকতা ও বিশৃঙ্খলার জন্য সরকার দায়ী। আমলাদের হাতে দেশ চলতে পারে না। জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশ চলবে। জনপ্রতিনিধিদের মাদক নির্মূলের দায়িত্ব নিতে হবে। সিগারেট বন্ধ করে মাদক নির্মূলের অভিযান শুরু করার আহ্বান জানান তিনি। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশনের মহাসচিব ড. ফরিদ উদ্দিন ফরিদ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্চর্যজনকভাবে মাদক সহজলভ্য। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বললেও বাস্তবে পুলিশ প্রশাসনের অনেকে মাদকসহ গ্রেপ্তার হচ্ছে। তারা মাদক বিক্রি ও মাদক কারবারি সৃষ্টি করছে। সরকার মাদকবিরোধী কথা বলে বাস্তবে মাদকের উৎসাহ দিচ্ছে। মাদক নির্মূলে জাতীয় সংসদে জাতীয় কমিটি করার পরামর্শ দেন তিনি।

অ্যান্টি ড্রাগ সোসাইটির সভাপতি আশ্রাফুর রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তৃতা করেন এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, আমেরিকার ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, ডিইউজের সহ-সভাপতি বাছির জামাল, বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবু ইউসুফ বাদল, জাতীয় তরুণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল হক, বাংলাভিশনের বার্তা সম্পাদক বদরুল আলম নাবিল, বিবেকের চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু, বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির মহাসচিব ডাক্তার আবুল কাওসার, গণস্বাস্থ্যের প্রেস অ্যাডভাইজার জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৯শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:৫৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit