ডেস্ক নিউজ : ডাউন সিনড্রোম ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিগণ সমাজে নানাভাবে অবহেলিত ও উপেক্ষিত। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি এখনো পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ জন্য প্রয়োজন পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সচেতনতা, মোটিভেশন, পরিকল্পিত উদ্যোগ ও দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাসহ ডাউন সিনড্রোম ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একীভূত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। এ ব্যাপাারে সরকার ও ওপিডি সংগঠনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতার জরুরি ভিত্তেতে দরকার।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) আমডা বাংলাদেশ ও ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের আয়োজনে বনানীর সাফারি হোটেলে দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন এডিডি ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম, সাইটসেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সরদার এ নাঈম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আমডা বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল কর্তৃক ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুজন সেলফ অ্যাডভোকেটকে শিক্ষানবিশ কর্মী হিসেবে নিয়োগপত্র তুলে দেন অধ্যাপক ডা. সরদার এ নাঈম ও জি এম অপারেশন মুরাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আরো তিনজন ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সেলফ অ্যাডভোকেটকে শিক্ষানবিশ কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আমডা বাংলাদেশ।
কিউএনবি/আয়শা/১২ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:০১